করোনাভাইরাসের কারণে সিলেটসহ দেশব্যাপী লকডাউন চলায় কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে দিনরাত কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ।
Advertisement
কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে, আবার কখনো সিলেট সিটি করপোরেশনের খাদ্য ফান্ড এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত সরকারি খাদ্যসামগ্রী অসহায়দের বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন তিনবারের নির্বাচিত এই কাউন্সিলর।
পাশাপাশি বন্ধুমহল, বিভিন্ন সংগঠন, ফাউন্ডেশন ও প্রতিষ্ঠান থেকে নিজ ওয়ার্ডের অসহায় লোকজনের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে এসে বিতরণ করছেন তিনি।
তার বিরামহীন ত্রাণ তৎপরতায় খুশি এলাকাবাসী। ত্রাণ পেয়ে অসহায় লোকজন বলছেন, কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ ফটোসেশন না করে গভীর রাত পর্যন্ত ত্রাণের চাল নিজে বহন করে বাসাবাড়ি ও বস্তিতে পৌঁছে দিচ্ছেন। অতীতে এভাবে কেউ তার মতো মানুষের জন্য কাজ করেননি।
Advertisement
জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নয়টি পাড়া রয়েছে। এই ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবারের বাস। এই এলাকায় কয়েক ধাপে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। তার এই খাদ্য সহায়তায় অসহায়দের মুখে হাসি ফুটেছে।
কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ বলেন, করোনার প্রভাবে অসহায় হয়ে পড়াদের মধ্যে কয়েক দফায় ব্যক্তিগতভাবে, সরকারি ও সিসিকের উদ্যোগে সাড়ে নয় হাজারের বেশি প্যাকেট চাল ও খাদ্যসামগ্রী আমার ওয়ার্ডে বিতরণ করেছি।
তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুই হাজার প্যাকেট চাল, সিলেট সিটি করপোরেশনের খাদ্য তহবিল থেকে চার হাজার ২০০ পরিবারে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত ১০ কেজি করে এক হাজার ৩০০ পরিবারে সরকারি চাল, মোমেন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এক হাজার প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী, প্রবাসী ও স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে ৬০০, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে ১৫০ পরিবারে, সিটি ব্যাংক ও লন্ডনভিত্তিক একটি সংগঠনের মাধ্যমে দুই দফায় ওয়ার্ডের ১৫০ প্রতিবন্ধীকে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। এসব খাদ্য সহায়তা শুধু আমার প্রচেষ্টায় দেয়া হয়েছে।
কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ আরও বলেন, বৃহস্পতিবার খাসদবির এলাকায় ৫০০ পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর আগে হাজারীবাগে ৪৭০ ও হোসনাবাদ এলাকায় ৩৩০ পরিবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত ১০ কেজি করে সরকারি চাল বিতরণ করেছি। এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণকাজে ওয়ার্ডবাসী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।
Advertisement
কাউন্সিলর রেজওয়ান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে জনজীবন থমকে গেছে। বেকার হয়ে ঘরে বসে আছে দিনমজুর, বন্ধ হয়েছে নিত্যদিনের খেটেখাওয়া মানুষের জীবিকার পথ। এসব মানুষ না খেয়ে মরতে পারে না। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেই নয়, একজন মানুষ হিসেবে এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সেই তাগিদ থেকেই অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে এই সংকটময় সময়ে আরও খাদ্য সহায়তা নিয়ে ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকার।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের অসহায় লোকজন জানান, রেজওয়ান আহমদ একজন উদার মনের মানুুষ। তিনি ত্রাণ দেয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও সহযোগিতা নিয়ে আমাদের পাশে আছেন। আমরা এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞ।
ছামির মাহমুদ/এএম/বিএ