নাটোরে জেলা ছাত্রলীগ নেতার প্রাণনাশের হুমকিতে জীবন সংকটাপন্ন উল্লেখ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাণ ভিক্ষা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাটোর সদর উপজেলার ৫নং বড় হরিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ওছমান গণি ভুইয়া।
Advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাটোর ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান ওছমান গণি ভুইয়া বলেন, প্রায় ১৭ বছর তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি সংসদ সদস্যের রোষাণলে পড়েন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে কিছু নব্য আওয়ামী লীগারের কারণে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবন এখন সংকটাপন্ন ও দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৬ মে বুধবার দুপুর ১টার দিকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে থাকাকালীন জানতে পারেন, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের নেতৃত্বে তার স্ত্রী একদল সন্ত্রাসী ও তার ছেলেদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তার বাড়ি লুটপাট করাসহ তাকে না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়। তার এক ছেলে যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম কালিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের দেয়া প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকিতে যেকোনো সময় প্রাণনাশের আশঙ্কা ও অসহায়বোধ করছেন চেয়ারম্যান ওছমান গণি ভুইয়া। এ অবস্থায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাণভিক্ষা ও ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
Advertisement
এদিকে বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম মাসুমসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে মূল আসামি করে একটি অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু গত সম্মেলনে তাকে বাদ দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এসময় ওসমান গণির ছেলে তরিকুল ইসলাম ভুইয়া কান্নায় ভেঙে পড়ে তার বাবার প্রাণভিক্ষার আবেদন জানান।
এসব বিষয়ে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি পরিকল্পিত মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার।
Advertisement
নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, চেয়ারম্যান ওছমান গণি ভুইয়ার দায়ের করা এজাহারে মূল আসামি রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে আসামি করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম কালিয়াকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটকের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রেজাউল করিম রেজা/এমএএস/এমকেএইচ