আন্তর্জাতিক

এবার করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের অনুমোদন দিলো জাপান

করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে জাপান। বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে করোনা রোগীদের এই ওষুধ প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এদিকে চলতি মাসেই দেশটিতে ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ অ্যাভিগানও করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি পেতে পারে।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি মেলে গত শুক্রবার। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে জাপান ইবোলার এই ওষুধটি করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দিলো।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা হিসাবে রেমডিসিভিরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রথম দেশ হিসাবে আমরাই করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধটির অনুমোদন দিয়েছি।

গত সপ্তাহে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, মার্কিন কোম্পানি গিলিড সায়েন্সের তৈরি ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ব্যাপারে দ্রুত সবুজ সংকেত দিতে পারে সরকার।

Advertisement

ইবোলার চিকিৎসার জন্য তৈরি এই ওষুধটির বড় ধরনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর মার্কিন বিজ্ঞানীরা এফডিএর চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। ওষুধটি প্রয়োগে দেখা যায়, যেসব রোগীকে রেমডিসিভির দেয়া হয়েছে তাদের এক তৃতীয়াংশ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে ওষুধটি মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সন্তোষজনক ভূমিকা রাখতে পারেনি।

ইনজেকশনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ রেমডিসিভিরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে।

জাপানের ফুজিফিল্ম তয়ামা কেমিক্যালের তৈরি অ্যাভিগানও করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলতি মাসেই আসতে পারে। তয়ামা কেমিক্যালের কর্মকর্তা সুগা বলেছেন, প্রায় ১০০ জন করোনা রোগীর শরীরে অ্যাভিগানের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ওষুধটির কার্যকর ফল এলে চলতি মাসেই সরকার অ্যাভিগান অনুমোদন দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

অ্যাভিগানের জেনেরিক নাম ফ্যাভিপিরাভির; ২০১৪ সালে জাপান ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসার জন্য এই ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ওষুধটি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল দিতে পারেনি।

Advertisement

এই ওষুধটি বাজারে পাওয়া না গেলেও একমাত্র জাপান সরকারের অনুরোধে ফুজিফিল্ম তয়ামা কেমিক্যাল সেটির উৎপাদন করতে পারে। সেবন করার এই ওষুধটি শরীরের কোষে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরিতে বাধা দেয়। তবে গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি তীব্র পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

সূত্র: এএফপি।

এসআইএস/এমকেএইচ