জাতীয়

গণপরিবহনের চাকা ঘুরলেই ষোলকলা পূর্ণ!

সারাদেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলেও সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার (৭ মে) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ জন। গতকাল বুধবার (৬ মে) পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭১৯ জন। এ সময় পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল মোট ১৮৬ জন।

Advertisement

শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৬৭৪ জন। আর মৃত্যু ১০০ জন। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি মৃত্যু রাজধানীতে।

এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর রাস্তাঘাটে বের হলে বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই যে, নগরবাসী করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছেন। পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথে অসংখ্য মানুষ অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। অসংখ্য বড় বড় লরি, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত ও পায়ে চালিত রিকশা চলছে। কোথাও কোথাও যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে!

বৃহস্পতিবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, দিনদিন রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কয়েকদিন আগে নগরবাসীকে নিজ নিজ বাসায় থাকতে বাধ্য করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনা সদস্যদের টহল থাকলেও এখন তা নেই। মাঝেমধ্যে চোখে পড়লেও যেন সাক্ষী গোপাল অবস্থা। রাস্তায় নামমাত্র টহল দিচ্ছেন তারা।

Advertisement

এদিকে, জীবন ও জীবিকার তাগিদে সরকার নগরবাসীকে ঘরের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ দিলেও এর ফলে করোনারোগীর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রোগতত্ত্ববিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এদিন দুপুরে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে কথা হয় আজিমপুরের বাসিন্দা আফজাল হোসেনের সঙ্গে। মানুষ ও অসংখ্য যানবাহনের অবাধ চলাচল দেখে তিনি বলেন, ‘এখন শুধু গণপরিবহনের চলাচলটাই বাকি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটিও চালু করে দিলে ষোলকলা পূর্ণ হয়।’

সরকারের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১০ মে থেকে খুলছে মার্কেট ও শপিংমলগুলো। ঈদ সামনে, তাই কেনাকাটার সুযোগ দিতে এমন উদ্যোগ নেয়া হলেও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। যদিও সরকারের এমন ঘোষণার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেনি বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউ মার্কেটের মতো শপিংমল ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ। তারা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ঈদের আগে মার্কেট খুলবেন না। তবে কিছু কিছু মার্কেট খোলা থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। সেগুলো খুললে করোনা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এমইউ/এমএআর/পিআর

Advertisement