# দোকান খোলার সিদ্ধান্ত স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের, জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি# দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো খুলবে কি-না সিদ্ধান্ত শুক্রবার
Advertisement
শর্তসাপেক্ষে শপিংমল খোলার বিষয়ে সরকারের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘আড়ং’। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সারাদেশে থাকা ২১টি আউটলেটের মধ্যে ১৭টি আউটলেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আড়ংয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, আড়ংয়ের পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ৬০ থেকে ৬৫ হাজার লোক। এখানে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার লোক রয়েছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বৈশাখকেন্দ্রিক বেচাকেনা বন্ধ ছিল। পণ্যগুলো স্টক হয়ে গেছে। ঈদের পণ্যও আমাদের হাতে রয়েছে। এখন আমরা চাচ্ছি এসব পণ্য ঈদের আগে কিছুটা হলেও বিক্রি করে তাদের সাপোর্ট দিতে। তা না হলে আগামীতে আমাদের উৎপাদনকারীদের সাপোর্ট দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।
আশরাফুল আলম বলেন, করোনায় যেসব এলাকা বেশি রিস্কি (ঝুঁকিপূর্ণ), যেমন নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বাসাবো, সেখানকার আউটলেট খুলবো না। এছাড়া যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের আউটলেট দুটিও বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে সারাদেশে ২১টি আউটলেটের মধ্যে ১৭টি আউটলেট খুলবো। এসব আউটলেট সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খোলা হবে।
Advertisement
এদিকে সাদাকালো, কে-ক্রাফট, অঞ্জনস, নিপুণ, রঙ, অন্যমেলা, বাংলার মেলা, নবরূপা, নগরদোলা, দেশাল, নীলাঞ্জনাসহ দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো খোলা হবে কি-না, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে দেশীয় পোশাক ব্র্যান্ড সাদাকালোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এফইএবি) সাবেক সভাপতি আজহারুল হক আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আগামীকাল শুক্রবার (৮ মে) খোলা বা না খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আগামী ১০ মে থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা যাবে। তবে তা বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
সরকারের এ ঘোষণার পর দেশের অন্যতম সেরা দুটি শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রমজান মাসে শপিংমল দুটি খোলা হবে না।
Advertisement
এরপর এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, দোকান ও শপিংমল খোলার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে যারা মার্কেট বা দোকান খোলা রাখতে পারবেন, তারা খোলা রাখবেন। যারা পারবেন না, তারা বন্ধ রাখলেও সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, আমরা এখন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরকে করোনার হটস্পট বলে বিবেচনা করছি। সেক্ষেত্রে দোকানের স্ব স্ব মালিক কিংবা স্ব স্ব মার্কেট কমিটি যদি মনে করেন যে তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখবেন, এতে কারও কোনো সমস্যার কারণ নেই।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারাদেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দোকানপাট, শপিংমলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। সেই ছুটির মেয়াদ পর্যায়ক্রমে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
এসআই/এইচএ/এমকেএইচ