করোনাভাইরাসের কারণে সংকটে পড়েছেন সন্দ্বীপের মাছচাষিরা। এ দুর্যোগে মাছ বিক্রি কমে এসেছে অনেকাংশে। ফলে মাছ বিক্রি করতে না পেরে অনেক চাষি লোকসানে পড়েছেন। দ্বীপের প্রায় ৫০টি হ্যাচারি মালিকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
Advertisement
মাছচাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিস্থিতির কারণে মাছ কেনার লোক নেই বললেই চলে। ফলে খুব কম মাছ হাট-বাজারে নেওয়া হয়। তা-ও বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে পাইকারি ক্রেতারা চাষিদের কাছে ভিড় করলেও বর্তমানে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, সন্দ্বীপে মোট ৮ হাজার পুকুর রয়েছে। হ্যাচারি রয়েছে প্রায় ৫০টি। বছরে মাছ উৎপাদন হয় ৪ হাজার মেট্রিক টন। সামুদ্রিক মাছ থাকায় উৎপাদিত মাছে সন্দ্বীপের চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়।
কালাপানিয়া ইউনিয়নের দ্বীপ হ্যাচারি অ্যান্ড এগ্রোর পরিচালক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। তার ৩০ একর জমিতে ১৬টির মতো পুকুর রয়েছে। গত একসপ্তাহ ধরে মাছ বিক্রি করতে না পেরে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি।
Advertisement
অধ্যক্ষ মিজান জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে এক ট্রাক মাছ যেত আমার। অথচ গত একসপ্তাহ ধরে কোনো মাছই বিক্রি করতে পারছি না। হাট-বাজারে মাছের তেমন ক্রেতা নেই। আমি প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবো। তাই প্রণোদনার আওতায় রাখতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
মাঈটভাঙ্গা ইউনিয়নের মাছচাষি নরোত্তম বনিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে না কবে এ অবস্থার উত্তরণ ঘটবে। পরিস্থিতি ভালো হলেও চাষিরা লোকসানে পড়বে। এ সংকটে আমার মত অনেক ক্ষুদ্র মাছচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন এ পরিস্থিতি থাকলে মাছচাষিরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার পদক্ষেপ নিলে প্রকৃত চাষিকে এর আওতায় আনা হবে।’
অপু ইব্রাহিম/এসইউ/জেআইএম
Advertisement