চিংড়ি, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন চাষকৃত মাছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলে নানা ধরনের গুজব প্রচারিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এসব মাছের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পায়নি এশিয়ান ফিশারিজ সোসাইটির গবেষকরা।
Advertisement
এশিয়ান ফিশারিজ সোসাইটির এক গবেষণাপত্রে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তারা মাছের মাধ্যম করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মাছ বা চিংড়ির মতো জলজ প্রাণীর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং এসব প্রাণীর মাধ্যমে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো ভূমিকা রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের নামকরা জলজ প্রাণীর স্বাস্থ্য (aquatic animal health), মাছ চাষ, খাদ্য নিরাপত্তা ও ভেটেরিনারি বিষয়ে একদল বিশেষজ্ঞ এ গবেষণাপত্রটি লিখেছেন।
Advertisement
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, নরওয়ে, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়ার এসব বিশেষজ্ঞরা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও) এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এক ভিডিও বার্তায় করোনা মোকাবিলায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও এসব দিয়ে তৈরি খাবারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পাশাপাশি, এসব শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সহায়তায় সরকার সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
এফআর/এমএস
Advertisement