জাতীয়

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে তৃতীয় দফায় সহায়তা সামগ্রী দিল ভারত

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষায় সক্ষম আরটি-পিসিআর কিটসহ জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে ভারত।

Advertisement

বুধবার (৬ মে) ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এ সহায়তা সামগ্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করেন।

এটি বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহায়তা সামগ্রীর তৃতীয় চালান। এর আগে প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ছিল ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী । ২৬ এপ্রিল আসে সহায়তার দ্বিতীয় চালান। সেখানে এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভসসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠায় ভারত।

হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ জানান, এই আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলো ভারতের ‘মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড’ উৎপাদিত এবং কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত।

Advertisement

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শনাক্তকরণ কিটপ্রাপ্ত প্রথম অংশীদার দেশ, যা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এ সহায়তা পেয়েছে।

দুই দেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন করোনাকালে তিন দফায় ভারতের সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ কিটগুলো বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে, যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।

এ বিষয়ে হাইকমিশন জানিয়েছে, সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী এই পরীক্ষার কিটগুলো বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।

আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলো বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। তার আগে এসব সামগ্রী প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।

Advertisement

জেপি/এইচএ/জেআইএম