আন্তর্জাতিক

লকডাউন ‘অগ্রাহ্য’ করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদত্যাগ

করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে জারি করা লকডাউন নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের জরুরি বৈজ্ঞানিক পরামর্শক দলের (এসএজিই) অন্যতম সদস্য প্রফেসর নিল ফার্গুসন।

Advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ফার্গুসনের পদত্যাগের সঙ্গে সম্প্রতি ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত নারী সম্পর্কিত একটি ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। বলা হচ্ছে, ওই নারী প্রফেসর ফার্গুসনের ‘বিবাহিত প্রেমিকা’। তিনি লকডাউনের মধ্যেই ফার্গুসনের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যে লকডাউন ঘোষণার অন্যতম কারিগর ছিলেন নিল ফার্গুসন। তিনি জানিয়েছিলেন, কড়া নিয়ন্ত্রণ না রাখলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে আড়াই লাখ মানুষ মারা যেতে পারে।

তার ওই তথ্যের জেরে গত ২৩ মার্চ যুক্তরাজ্যজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর ফলে জনসাধারণকে অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়। এমনকি যেসব যুগল আলাদা থাকেন, তাদেরও মহামারির সময় নিজ নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

Advertisement

এক বিবৃতিতে প্রফেসর ফার্গুসন বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি, আমার একটি বিচারে ভুল ছিল এবং একটা ভুল পদক্ষেপ নিয়েছি। একারণে আমি এসএজিই থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা পজিটিভ শনাক্তের পর উপসর্গ দেখা দেয়ায় প্রায় দুই সপ্তাহ পুরোপুরি আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলাম। আমি রোগ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছি, এই বিশ্বাস থেকেই কাজটি করেছিলাম।’

‘সামাজিক দূরত্বের অবিরত প্রয়োজনীয়তার সুস্পষ্ট বার্তা অমান্য করায় আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত।’

এসময় সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে সরকারের পরামর্শকে ‘নির্ভুল’ বলে অভিহিত করেন নিল ফার্গুসন এবং বলেন, এটি ‘আমাদের সবাইকে রক্ষা করার জন্য’ ছিল।

Advertisement

এদিকে, মঙ্গলবার নতুন করে সংশোধিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশের পর এ তালিকায় ইউরোপের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাজ্য। প্রকাশিত নতুন পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩২ হাজারের বেশি; যা ইউরোপের একক কোনো দেশে সর্বোচ্চ।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

কেএএ/জেআইএম