বন্ধ থাকা শপিংমল, রেস্টুরেন্ট ও অভিজাত দোকানপাট প্রায় দেড় মাস পর ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও যথাযথ ভ্যাট আদায় নিশ্চি করতে ভ্যাট কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ মে) এনবিআরের সদস্য মো. জামাল হোসেনের (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) সই করা এক নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে মনিটরিং যতটা সম্ভব টেলিফোন, খুদে বার্তা, ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ইতোমধ্যে সরকার স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন সাপেক্ষে রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট খুলেছে। একইভাবে ঈদ উপলক্ষে সরকার দোকানপাটও খোলার অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু বড় শপিংমল ও দোকানপাটও খুলছে।
কমিশনারদের উদ্দেশ্য করে এনবিআরেরে নির্দেশনায় বলা হয়, ভ্যাট কমিশনারেটের অধিক্ষেত্রের রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটের ওপর মনিটরিং বজায় রাখা এবং যথাযথ ভ্যাট আহরণে সক্রিয় থাকতে হবে। এই মনিটরিং যতটা সম্ভব টেলিফোন, খুদে বার্তা, ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে করতে হবে। সশরীরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন এভং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
Advertisement
তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করদাতাদের সাথে আচরণ করতে অনুরোধ করা হয়।
ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ১০ মে (রোববার) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয় সরকার। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের শপিংমল খোলার এ অনুমতি দেয়া হয়।
তবে কীভাবে এগুলো পরিচালিত হবে মঙ্গলবার (৫ মে) মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থাকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, হাট-বাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার, ফেরিওয়ালা ও অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেয়া যাবে না।
Advertisement
প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। সব দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
এর আগে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শপিংমলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। সেই ছুটির মেয়াদ পর্যাক্রমে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
এসআই/জেডএ/পিআর