যশোরের শার্শার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় সদ্য প্রসূত নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকে ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। শনিবার বিকেলে নাভারনের ‘পল্লী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রসূতি মুক্তা খাতুন (৩৯) বেনাপোলের সরবাংহুদা গ্রামের হাসান আলির স্ত্রী।মুক্তা খাতুনের বড় ভাই লিটন হোসেন জানান, তার সন্তানসম্ভাবা বোনকে শুক্রবার সন্ধায় ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে তাদেরকে ফুসলিয়ে রোগীকে সিজার করানোর কথা বলেন। রোগীর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে শনিবার দুপুরে তাকে সিজার করানো হয়। ওই সময় মুক্তা একটি মৃত সন্তান প্রসব করেছে বলে জানানো হয়।স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক এমএ জামান ও আব্দুল হামিদ এ সিজার করান। ভুল চিকিৎসার কারণে অপারেশনের পরপরই প্রসূতির অবস্থা অবনতির দিকে যায়। তখন ডাক্তাররা যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথেই প্রসুতির মৃত্যু ঘটে বলে জানান লিটন।রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, রোগীকে ভর্তির পর ক্লিনিকের মালিক পল্লী চিকিৎসক আব্দুল হামিদ আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে বাচ্চা সুস্থ আছে বলে জানিয়েছিলেন। অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হলে পরে ওরা মৃত সন্তান প্রসব করেছে বলে প্রচার করতে থাকে।প্রতক্ষদর্শীরা জানান, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার আত্মীয়-স্বজন ও আশপাশের লোকজন এসে ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।এ ব্যাপারে শার্শা থানার ওসি এনামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি সবে শুনেছেন এবং বিষয়টি জানার জন্য ঘটনাস্থলে দু’জন উপ-পরিদর্শক পাঠানো হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, মৃতের স্বজনদের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ ব্যাপারে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গ যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।মো. জামাল হোসেন/বিএ
Advertisement