মধ্যপ্রচ্যের অন্যতম ধনীদেশ কুয়েত করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নিচ্ছে নতুন নতুন ব্যবস্থা। দেশটিতে গত ১২ মার্চ হতে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,মসজিদ, বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, শপিং মহল বন্ধ রয়েছে।
Advertisement
এ ছাড়াও ২২ মার্চ থেকে চলছে কারফিউ, যা রমজানে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বলবত।
আর স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটর জন্য চালু রয়েছে সুপারশপ ও ফার্মেসি। মার্কেটগুলোতে প্রবেশের আগে নির্দিষ্ট স্থানে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে বসে অথবা লাইনে দাাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এরপর হ্যান্ড স্যানেটাইজার , গ্লাভস দেয়া হয়। মার্কেটের মূল ফটকে ভেতরে প্রবেশের আগে শরীরের তাপমাত্রা চেক করা হয়।
বড় সুপার শপগুলোতে বসানো হয়েছে স্ক্যানার মেশিন। অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকলে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না তাদের। মার্কেটের ভেতরেও ক্রেতারা সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করে থাকেন।
Advertisement
ক্যাশ কাউন্টার ক্যাশিয়াররাও মাক্স, গ্লাভস ব্যবহার করে থাকেন। এ ছাড়া মার্কেটগুলোর ভেতরে শপিংমল, জুয়েলারি, পারফিউম, প্রসাধনীর দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।
নির্দিষ্টসংখ্যক ক্রেতা প্রবেশ করে কেনাকাটা শেষ করে কাউন্টারে এলে অপেক্ষমাণ বাকিদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
বাংলাদেশে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সীদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও ক্রেতা সাধারণ কীভাবে মার্কেটে যাবেন? এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে নিজের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।
জেডএ/পিআর
Advertisement