জাতীয়

ভারতে আটকে পড়াদের ফেরাতে আরও ৯ বিশেষ ফ্লাইট

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আটকে পড়া আরও বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ বিমানের চারটি ও ইউএস-বাংলার পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এগুলো কলকাতা, নয়াদিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু ও চেন্নাই থেকে আসবে।

Advertisement

আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারতে আটকে পড়া আরও ১২৮ জন বাংলাদেশিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ দিল্লি থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে চিকিৎসা ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে গিয়ে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায় সম্পন্ন হলো। এই দুই পর্যায়ে মোট দুই সহস্রাধিক আটকে পড়া বাংলাদেশী আকাশপথে দেশে ফিরলেন।

এতে আরও বলা হয়, আকাশপথের পাশাপাশি সড়কপথেও প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। লকডাউন শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন স্থলসীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ মিশনগুলোর সহায়তায় দেশে ফেরা যাত্রীর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। আজ দিল্লি থেকে সড়ক পথে ২৬ জন বাংলাদেশি বেনাপােল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ুসহ বিভিন্ন দূরবর্তী রাজ্য থেকে আগামী কয়েক দিনে সড়ক পথে শতাধিক বাংলাদেশির দেশে ফেরার অনুমােদন প্রক্রিয়া চলমান। যারা সড়কপথে দেশে ফিরতে চান, তাদের অবিলম্বে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমােদনের জন্য হাইকমিশনে যােগাযােগ করতে অনুরােধ করা যাচ্ছে।

Advertisement

সড়কপথে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্ষেত্রে রােগীদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে চিকিৎসকের অনুমতি গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশেষ ট্রেনযোগে রেলপথে ভ্রমণের ব্যবস্থার জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যােগাযােগ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি পদ্ধতিগত কারণে সময়সাপেক্ষ হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আকাশপথে প্রত্যাবর্তনের তৃতীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি ও চেন্নাই ছাড়াও ব্যাঙ্গালুরু থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য হাইকমিশনের প্রস্তাব দু 'দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানাে হয়েছে। পর্যাপ্ত যাত্রী সংখ্যা ও অনুমােদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিম্নবর্ণিত সূচি অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলো পরিচালনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এগুলো হলো- কলকাতা থেকে ১০ মে, মুম্বাই থেকে ১২ মে, ব্যাঙ্গালুরু থেকে ১৩ মে অথবা ১৫ মে এবং দিল্লি থেকে ১৪ মে। এছাড়াও পর্যাপ্ত যাত্রী সংখ্যা ও অনুমােদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী ৮ থেকে ১০ মে ও ১৩, ১৪ মে চেন্নাই থেকে মােট পাঁচটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে এবং এর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সড়ক ও আকাশপথে ভ্রমণে ইচ্ছুক প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই ‘কোভিড- ১৯ মুক্ত’ বা ‘কোভিড -১৯ উপসৰ্গমুক্ত সনদ থাকতে হবে। বাংলাদেশে পৌঁছানাের পর প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যেসব বাংলাদেশি নাগরিক আইনগত জটিলতায় পড়ে দেশে ফিরতে পারছেন না বা স্থানীয় সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের বিষয়টি নিয়ে হাইকমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে।

ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষ সেল বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া সদস্যের তালিকা প্রস্তুত করে সম্ভাব্য সব উপায়ে যােগাযােগ রক্ষা করছে। একই ধরনের পরিস্থিতিতে আটকে থাকাদের জন্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের সাথে সংগতি রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। স্বাগতিক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে হাইকমিশন যােগাযােগ রেখেছে।

এইচএস/এনএফ/পিআর

Advertisement