রাজনীতি

দলীয় ত্রাণ বিতরণ ও মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন আ.লীগ নেতারা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সারাদেশে দলীয় ত্রাণ বিতরণ ও মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন দলের নেতাকর্মীবৃন্দ। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দিচ্ছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ দলের নেতাকর্মীবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণে অনিয়ম হচ্ছে- বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন বিএনপি ত্রাণে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা বলে। যারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যাদের চেয়ারপারসন কালো টাকা সাদা করেছেন, যাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়ে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার ভাইয়ের পাচার করা টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে, সেই দুর্নীতিবাজরা যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে, তখন মানুষ হাসে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি নিয়ে এগুচ্ছেন এবং যেখানেই ত্রাণের ব্যাপারে সামান্যতম বাত্যয় বা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, সেখানে তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেই নির্দেশ পালিত হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, সেগুলো ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনকি বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস ও দি ইকনোমিস্ট কর্তৃক বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি প্রশংসা করতে পারছে না। কারণ বিএনপি প্রশংসার সংস্কৃতি লালন করে না।

তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদশে করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষের কাছে আমাদের ত্রাণ পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রায়শই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এবং এস এম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী।

Advertisement

এইউএ/এমএসএইচ/পিআর