প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের চিকিৎসায় ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রাজধানীর মুগদা জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এই বোর্ড গঠন করা হয়।
Advertisement
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও, মঙ্গলবার জাগো নিউজের কাছে তার মেয়ে দাবি করেছেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত নন। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৬৯ বছর বয়সী এই অধ্যাপক হৃদরোগের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
মুগদা হাসপাতালের কোভিড-১৯ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি করা হয়েছে।
মুগদা জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিলাল ছাড়াও মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহসানুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাউদ্দিন উলুব্বী, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান, এনেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান।
Advertisement
রোববার (৩ মে) সন্ধ্যায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মঙ্গলবার আইসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মা বর্তমানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ১৮ এপ্রিল থেকে তিনি হাসপাতালে আছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মুনতাসীর মামুনের মেয়ে রয়া মুনতাসীর বলেন, ১০ দিন আগে বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। করোনাভাইরাসের উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। দুই দফায় করোনা পরীক্ষার পর বাবার ফল নেগেটিভ এসেছে।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের জন্ম ১৯৫১ সালের ২৪ মে, ঢাকায়। তিনি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামের পোর্ট স্ট্রিট হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৭৪ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
Advertisement
এইচএস/এমএসএইচ/পিআর