ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুই চিকিৎসকের পরকীয়ার ঘটনা সম্পর্কে জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের ডক্টরস ডরমেটরি কোয়ার্টার থেকে আপত্তিকর অবস্থায় এক নারী চিকিৎসকসহ দুই চিকিৎসককে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।এ ঘটনায় ‘অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশার’ অভিযোগে থানায় চুরি ও ব্যভিচারের মামলা দায়ের করেছেন নারী চিকিৎসকের শ্বশুর। ওই মামলায় আটক ও গ্রেফতারকৃত চিকিৎসক বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।হাসপাতাল ক্যাম্পাস থেকে আপত্তিকর অবস্থায় চিকিৎসক যুগলকে আটক করার ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানেন না বলে শনিবার বিকেলে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল গফুর জাগো নিউজকে জানান। তিনি বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় কিছু জানতে পারেননি।শনিবার সকালে হাসপাতাল স্টাফদের কাছ থেকে ও পত্রপত্রিকায় খবরটা দেখলেও অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় পরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কী করণীয় সে সম্পর্কে নিদের্শনা পাননি।কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে তদন্ত কমিটি গঠিত হবে কি-হবে না সে সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন।জানা যায়, আটককৃত উভয় চিকিৎসক ঢামেক হাসপাতালেই কর্মরত। একজন ঢামেকের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। তার স্বামীও ঢামেকের ডাক্তার। তবে আটকের সময় তিনি থাইল্যান্ডে চিকিৎসা বিষয়ক ট্রেনিংয়ে ছিলেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএমডিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ইতিপূর্বে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এ ব্যাপারে যদি নারী চিকিৎসকের স্বামী অভিযোগ দায়ের করেন সেক্ষেত্রে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির সত্যতা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে পরকীয়ার অপরাধে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে কি-না সে সম্পর্কে তিনি সুস্পষ্ট আইনের ব্যাখ্যা জানেন না বলে মন্তব্য করেন।এমইউ/বিএ
Advertisement