রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ১১৮ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ জনের। নতুন করে কেউ মারা যাননি, সুস্থও হননি। এ পর্যন্ত বিভাগে করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন মাত্র তিনজন। আর মারা গেছেন দুজন। মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর।
Advertisement
গত ১০ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে, বিভাগে যে ১১৮ জনের করোনা ধরা পড়েছে তাদের ৩৪ জন জয়পুরহাটের বাসিন্দা। এদের ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এটিই এই বিভাগে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত জেলা। তবে বিভাগে করোনার হটস্পট জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল রাজশাহী জেলায় দু’জন, বগুড়ায় দু’জন, পাবনায় দু’জন এবং নাটোরে একজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এ পর্যন্ত রাজশাহী জেলায় ১৭ জন, বগুড়ায় ২৩ জন, নওগাঁয় ১৭ জন, পাবনায় ১৩ জন, নাটোরে ১০ জন, সিরাজগঞ্জে দু’জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে দু’জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
Advertisement
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনেপাঠানো হয়েছে ৫৪৩ জনকে। মুক্তি পেয়েছেন ৫০০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ২৬ জন। আর সেখান থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২১ জন। নতুন করে ছয় জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও আইসোলেশন থেকেছাড়পত্র পেয়েছেন ১১ জন।
১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২৪হাজার ৮১৮ জনকে। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ৮৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৩৬২ জনকে। এদের ১৬৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ১৯৯ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪৬ জন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথআচার্য্য বলেন, এখন করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ পর্যায় চলছে। প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/জেআইএম
Advertisement