করোনাভাইরাসের কারণে কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববিসহ বিশ্বের সব মসজিদেই জামাআত উপস্থিতি সীমিত ও স্থগিত করা হয়েছে। মক্কা-মদিনার দুই পবিত্র মসজিদে স্বল্প সময়ে বিধি-নিষেধের মাধ্যমে চালু রয়েছে জামাআত। ওমরা ও জেয়ারত স্থগিত রয়েছে। জনসমাগন না হলেও এ দুই স্থানের জীবাণুমুক্ত কার্যক্রম সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে চালু রেখেছে হারামইন কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
এখনও প্রতিদিন সাতবার জীবাণুমুক্ত করার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে হারাাইন কর্তৃপক্ষ। শুধু রাতেই পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্ত কার্যক্রম চলে তিনবার।
কাবা শরিফ ও মদিনায় রমজানে সীমিত আকারে তারাবিহ হচ্ছে। করোনা সতর্কতায় এ বছর ১০ রাকাআত তারাবিহ নামাজ পড়া হয়। দেশটিতে সীমিত আকারে লকডাউন শিথিল করা হলেও পবিত্র নগরী মক্কায় লকডাউন শিথিল করা হয়নি।
করোনার সংক্রমণ রোধে হারামাইন কর্তৃপক্ষ নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। প্রতিদিন সাতবার বিশেষ জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিচ্ছন্ন করা হয় কাবা শরিফের চত্বর, পুরো মসজিদে হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববি। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরই উঠিয়ে ফেলা হয় কার্পেট। তা জীবাণুমুক্ত করে পুনরায় তা বিছানো হয়।
Advertisement
শুধু মসজিদে হারাম ও কাবা শরিফ চত্বরেই নয় বরং মসজিদে হারাম চত্বরেও জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। তারপর পরিচ্ছন্ন করা হয় হারাম চত্বর।
এ দুই পবিত্র মসজিদের তদারকি করেন শায়খ আব্দুর রহামন আস-সুদাইসি। পবিত্র নগরী মক্কায় নিজে উপস্থিত থেকে আর অনলাইনের মাধ্যমে মদিনার মসজিদে নববির কার্যক্রমও তিনি তত্ত্বাবধান করেন।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনা আক্রমণের প্রথম দিকে রাতের বেলা ইশা থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত পবিত্র কাবা শরিফের তাওয়াফ বন্ধ ছিল। সে সময় রাতের বেলা পুরো হারাম ও কাবা শরিফ তিন বার পরিচ্ছন্ন করা হতো। সে সময় এ কাজে নিয়োজিত ছিল এ ব্যবস্থাপনা-
>> ৩৩০ জন দক্ষ সেবক।>> ১০টি ফ্লোর পরিচ্ছন্ন মেশিন।>> অত্যাধুনিক ৮৬টি জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন।>> ১ হাজার ৮০০ লিটার জীবাণুনাশক লিকুইড ব্যবহার।>> ফজর থেকে ইশা পর্যন্ত ৩ বার পরিচ্ছন্ন করা হয়।>> নামাজের জন্য বিছানো কার্পেটগুলো মুসল্লিদের জন্য জীবাণুমুক্ত করা হয়।
Advertisement
মক্কা-মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের জীবাণুনাশক ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। প্রতিদিন সাতবার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এমএমএস/এমকেএইচ