রাজধানীতে ১০ থেকে ১২ লাখ রিকশা রয়েছে। যার মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে ৮০ হাজার রিকশার। তবে এর মধ্যে এক লাইসেন্সে ৫০টি রিকশা আছে বলেও জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শনিবার নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচার) উদ্যেগে আয়োজিত ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত উদ্যেগ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।মন্ত্রী বলেন, যানজট সৃষ্টি এবং দুর্ঘটনা ঘটে আনফিট গাড়ী হঠাৎ থেমে গেলে বা সারা রাত গাড়ী চালিয়ে ড্রাইভার তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে ঘুমালে। তবে আইন-শৃংখলা বাহিনীরও কিছু গাফিলতি রয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীতে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা বন্ধ হলে ধর্মঘট শুরু হবে। তার পরেও তা বন্ধ করতে হবে। এসময় রাজধানী থেকে থ্রি হুইলার সরাতে দুই মেয়রের সহযোগিতা চান মন্ত্রী।তিনি বলেন, ড্রাইভার বেপরোয়া ড্রাউভিং থেকে যদি ফিরে না আসে তাহলে দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না। গত তিন মাসে দুর্ঘটনা কত কমেছে তা পত্রিকার প্রতিবেদনেই বুঝা যায়।মন্ত্রী আরো বলেন, আমাকে সফল মন্ত্রী বললে লজ্জা পাই। যখন দেখি শত-শত মানুষ আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন। তখন লজ্জা হয়, দুঃখ পাই। এ জন্য মাঝে মাঝে আমি অসহায় বোধ করি।পরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, গাজীপুর, পুস্তাগোলা, ভোলতা গাউসিয়া, গাবতলীতে ঘুরে দেখিছি এবং বলেছি বেশি ভাড়া নিচ্ছ কেন। এবার শুধু চালেকের বিরুদ্ধে না মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাঁচশত টাকা জরিমানা করে কি হবে জেলে পাঠিয়ে দাও। অনিয়ম অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে।তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ নিজস্ব অর্থায়নে চলছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে হবে, কর্ণফুলী ট্যানেল এবং ফ্লাইওভার হয়েছে। পরিবহনে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা তার চেয়ে কঠিন কাজ। সড়ক ও পরিবহনে বিশৃংখলা হচ্ছে। রাস্তায় এবং পরিবহনে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা দুরহ কাজ।অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক চাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়ত উল্লাহ, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, নিরাপদ সড়ক চাইয়ের নির্বাহী সদস্য কানিজ ফাতেমা মঞ্জুলি কাজী, অপূর্ব কুমার সাহা ও গাড়ী চালক শরীফা বেগম কথা বলেন।এফএইচ/এএইচ/আরআইপি
Advertisement