জাতীয়

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়ায় সরকারি বরাদ্দের দাবি

করোনা মহামারিকালে টিউশন ফি না নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে মেস ও বাসাভাড়া বাবদ সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেছেন ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সাথে অনলাইনে অভিজ্ঞ শিক্ষক ও ডিভাইস ছাড়া শিক্ষার্থীদের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার জন্যও বলেন তারা।

Advertisement

সোমবার বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা অনলাইনে পাঠানো এক বার্তায় এসব কথা বলেন। এছাড়া অনলাইনে পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান বলেও জানান তারা।

সারাদেশে দুর্বল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষায় যুক্ত হওয়ার জন্য সকল শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ডিভাইস নেই। ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস গ্রহণে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাব।

সুতরাং উল্লিখিত সমস্যাগুলোর শতভাগ সমাধান না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ রাখাটাই যৌক্তিক। এর ব্যত্যয় হলে সেটা শিক্ষার্থীদের ওপর একপেশে চাপিয়ে দেয়া হবে। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি বা সরকারের এরূপ অগণতান্ত্রিক ও ছাত্রস্বার্থবিরোধী তৎপরতা ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক অবস্থান করছি।

Advertisement

আরও বলা হয়, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা যে সকল দাবি ও প্রস্তাব উত্থাপন করছেন আমরা ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষে থেকে সেগুলোকে শতভাগ সমর্থন করছি এবং দাবি ও প্রস্তাব কার্যকর করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ইউজিসি ও সরকারের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানাচ্ছি।

ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি-১। মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কাছে সেমিস্টার ফি নেয়া চলবে না।

২। করোনাকালীন সেমিস্টার এবং করোনা পরবর্তী এক সেমিস্টারের টিউশন ফি'র অন্তত ৪০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। দুর্যোগের কারণে যাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তাদের সেমিস্টার ফি মওকুফ করতে হবে।

৩। শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে যেসব শিক্ষার্থীর শুধু ফাইনাল পরীক্ষা আটকে আছে তাদের জন্য এভালুয়েটেড (বিগত সময়ের মিড টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাস টেস্ট) মার্কসের উপর গ্রেডিং করে সেমিস্টার শেষ করতে হবে। তবে নতুন সেমিস্টারে কার্যক্রম শুরু করতে গেলে বাকি দাবি ও প্রস্তাবনা মেনে শুরু করতে হবে।

Advertisement

৪। ছাত্রদের মেসভাড়া ও নাগরিকদের বাড়িভাড়া বাবদ সরকারি বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। ৫। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।

এফএইচ/এমআরএম