করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার। এবার এক রুমে তিন থেকে চারজনের বেশি থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার।
Advertisement
নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই অভিবাসীদের বাসায় বাসায় গিয়ে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে কাতার প্রশাসন। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশি বলেন, ‘এ সময়ে এমনিতেই কাজ নেই। এটার জন্য শ্রমিকদের অনেক সমস্যা হচ্ছে’।
আরেক প্রবাসী বলেন, ‘এ দুর্যোগ মুহূর্তে কাজকর্ম কিছুই নেই। এখন রুম ভাড়া কিভাবে দেব? সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুব সমস্যায় পড়ে গেলাম’।
Advertisement
সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কাতারস্থ ফটিকছড়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটির নেতা আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের দিকে তাকিয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাতার সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি’।
২৫ লাখ জনসংখ্যার ছোট দেশটিতে ৪ বাংলাদেশিসহ মারা গেছেন ১২ জন। তিন হাজার বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। রমজানের শুরু থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
জনসংখ্যার অনুপাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় চরম আতঙ্কে আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সোমবার (০৪ মে) নতুন করে আরও ৬৪০ জনসহ দেশটিতে মোট ১৬ হাজার ১৯১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ছয় হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এক হাজার ৮১০ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হেলথ অথোরিটির তথ্য অনুযায়ী ৩২ ভাগ ভারতীয়, ২০ ভাগ নেপালি, ১৮ ভাগ বাংলাদেশি, ৬ ভাগ কাতারিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
এমআরএম