ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গুজরাটে দেশটির অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউন শিথিল করার দিনে সোমবার গুজরাটে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
গত ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশটিতে লকডাউন জারি করার পর এখন পর্যন্ত দু'বার তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনার লাগাম টানতে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার থেকে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজারের বেশি মানুষ, মারা গেছেন এক হাজার ৩০০ জনের বেশি। গুজরাটে কল-কারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তারা নিজ বাসায় ফিরতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েও না পেয়ে সোমবার গুজরাটের সুরাটে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে শ্রমিকরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুরাটের কাদোদারার এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, পুলিশ ওই এলাকার বিভিন্ন ভবন ও বাসা-বাড়িতে ঢুকে লোকজনকে আটক করছে।
Advertisement
ভারতে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সুরাটে দফায় দফায় শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। লকডাউনের কারণে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় দেশটির ১৪ কোটি অভিবাসী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়েছেন।
কিন্তু দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ১৩০ কোটি মানুষের এই দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের বিকল্প নেই। লকডাউন কার্যকর না থাকলে করোনায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে; যা ইতোমধ্যে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি ভয়াবহ চাপ তৈরি করেছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর
Advertisement