করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জার্মানি। চলতি বছরের শেষ দিকে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করার পর সোমবার এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
Advertisement
রোববার জার্মানির এআরডি টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী জেনস স্প্যান বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে যদি করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যায় তাহলে আমি বেশ খুশিই হবো।
তিনি বলেন, কিন্তু এটা তৈরিতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। বেশকিছু সমস্যাও হতে পারে; যা আমরা অতীতে অন্যান্য ভ্যাকসিন তৈরির সময় দেখেছি।
জার্মান এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন কাজ হলো ভ্যাকসিন তৈরি।
Advertisement
এদিকে, রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলতি বছরের শেষ দিকেই করোনার একটি ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসির লিঙ্কন মেমোরিয়াল টাউন হলে ফক্স নিউজের এক টকশোতে অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, চলতি বছরের শেষ দিকে আমরা কোভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন পাবো।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বলবেন, আমার এটা বলা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও আমি যা মনে করি, তা বলবো। আমি মনে করি, শিগগিরই আমরা একটি ভ্যাকসিন পাবো।
গত ২৩ এপ্রিল জার্মান ফার্মাসিটিউকালস কোম্পানি বায়োএনটেক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুকারক কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে বায়োএনটেক এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। জার্মানিতে ১২ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে বিএনটি১৬২ নামের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
Advertisement
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে প্রথমবারের মতো মানবদেহে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল এখনও আসেনি।
বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন এবং ওষুধ তৈরির প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ছয়টি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৩৫ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।
সূত্র: এএফপি।
এসআইএস/এমএস