করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থমকে আছে। দেশজুড়ে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে, এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাস পরিচালনায় সামনের দিকে রয়েছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিতি ডিপিএস এসটিএস স্কুল। এ ছাড়া, এ সংকটকালীন সময়ে এই স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সুবিধায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
Advertisement
ইতোমধ্যেই, স্কুলটির পক্ষ থেকে বকেয়া টিউশন ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। চলমান সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিভাবকরা বকেয়া টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
এ ছাড়া ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কোনো টিউশন ফি বাড়াবেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। বার্ষিক টিউশন ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে চারটি কিস্তি বাড়িয়ে ১০টি কিস্তি করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে শূন্য শতাংশ ইএমআইতে (সুদবিহীন) ফি পরিশোধ করার বিষয়টির আলোচনাও চলমান রয়েছে এবং সাধারণ ছুটি চলাকালীন পরিবহন ফিবাবদ সংগ্রহ করা অর্থ পুনরায় কার্যক্রম শুরু হলে অভিভাবকদের ফেরত দেয়া হবে।
এর আগে গত ২ মে এই স্কুলের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছিলে স্কুলটির অভিভাবক ফোরাম।
Advertisement
ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ (প্রিন্সিপাল) হর্ষ ওয়াল বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই শিক্ষাব্যবস্থা একটি দুর্যোগ সময়ের সম্মুখীন। সব সমস্যা মোকাবিলা করে ডিপিএস এসটিএস স্কুল অনলাইনের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করেছে। এ প্রতিকূল সময়ে আমরা আমাদের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং সব অংশীজনের সহায়তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমি আনন্দের সাথে বলতে চাই, আমাদের পরিচালিত সব অনলাইন ক্লাসে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বতস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। অনলাইন ক্লাসগুলোতে উপস্থিতি ৮৫ শতাংশের বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য শিক্ষাব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখা। পাশাপাশি, বর্তমান ও ভবিষ্যতে ক্লাসে উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষাদান নিশ্চিত করা। এ জন্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যাদের নিজেদেরও পরিবারের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে; তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলো নিয়ে কোনো আপস করছি না এবং প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামের নিয়মিত রক্ষাণাবেক্ষণ করছি। স্কুল থেকে সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সর্বোচ্চ সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি।'
জেডএ/জেআইএম
Advertisement