বাংলাদেশ দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি, সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরি- সব রেকর্ডই তামিম ইকবালের দখলে। তিন ফরম্যাট মিলে এখনও পর্যন্ত তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ২৩, হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৮১ বার।
Advertisement
অর্থাৎ নিজের ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৯৮ বার ব্যাট করতে নেমে অন্তত ১০৪টি ইনিংসে মাইলফলক ছোঁয়ার ব্যাট উঁচু করতে পেরেছেন তামিম। এই শতাধিক পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস কিংবা প্রায় চারশ ব্যাটিং করা ইনিংসের মধ্যে সেরা কোনটি?
এমন প্রশ্নের জবাবে যেকোন তামিম ভক্ত কিংবা ক্রিকেট বিশ্লেষক- সবাই দ্বিধায় পড়ে যাবেন নিশ্চিত। তবে তামিম নিজে যখন বেছে নেবেন নিজের সেরা ইনিংস, তখন কাজ সহজ হওয়াই স্বাভাবিক। তামিমের কাছ থেকে তার খেলা সেরা ইনিংসের কথা বের করে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এক লাইভ আড্ডায় মেতেছিলেন মাহমুউল্লাহ ও তামিম। দীর্ঘ এ আড্ডায় অনেক কথাই হয়েছে দুজনের মধ্যে। কথাপ্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ তামিমকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোর খেলা প্রিয় ইনিংস কোনটা? যেটা খেলে তুই তৃপ্তি পেয়েছিস?’
Advertisement
উত্তরে তামিম বলেন, ‘আমি সবচেয়ে বেশি যে ইনিংসটা উপভোগ করেছি, একটা আছে না যে মনের মতো; আমি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৫ রান করেছিলাম মিরপুরে, ওয়ানডেতে। ঐ ইনিংসটা আমার সবচেয়ে প্রিয় একটা ইনিংস। কারণ সেদিন আমি যা করতে চাইছি সবই হইছে, যেমন শটস খেলতে চাইছি, সব হইছে। ম্যাচটা আমরা হেরেছিলাম। তবে সেই ইনিংসটা আমার খুব প্রিয়।’
সে ম্যাচটি ছিল ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তামিমের সেঞ্চুরির পরেও বাংলাদেশ দল আগে ব্যাট করে অলআউট হয় মাত্র ২২৯ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ৮ নম্বরে নামা নাঈম ইসলাম।
ইনিংসের ৪৩তম ওভারে দলের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১২০ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কার মারে ১২৫ রান করেছিলেন তামিম। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ বড় না হওয়ায় ম্যাচ হারতে হয় ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
মাহমুদউল্লাহ-তামিমের লাইভের এ অংশ যখন বলা হচ্ছিল, তখন মন্তব্যের ঘরে যোগ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। তামিম নিজের সেঞ্চুরির কথা বলার সময় তিনি লিখেন, ‘প্রথম ম্যাচ, আমাকে রানআউট করেছিলি তুই।’
Advertisement
সত্যিই তাই! সেদিন ইনিংসের ৩০তম ওভারে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মুশফিক। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩৪ বলে ২২ রান। দলের সংগ্রহ তখন ছিল ১৪৬ রান। সেসময় রানআউট না হলে দলীয় সংগ্রহ আরও বড় হলেও হতে পারত।
এসএএস/এমকেএইচ