দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জে ৫৫ র‌্যাব সদস্য করোনা আক্রান্ত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ এর ৫৫ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দুটি আইসোলেশনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জেই তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। রোববার বিকেলে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে ওই সদস্যরা সবাই সুস্থ আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের র‌্যাব-১১ এর প্রধান কার্যালয়ের চারতলায় ও শহরের পুরাতন কোর্ট ভবনস্থ ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানিতে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দুটি আইসোলেশন সেন্টারের মাধ্যমে র‌্যাবের ৫৫ জন সদস্যকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে ভিড় না করে আমাদের সদস্যদের জন্য গত ৩০ এপ্রিল থেকে আদমজীর র‌্যাব-১১ এর ব্যারাকের চতুর্থ তলার ওপর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১৪০ শয্যা ও ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানিতে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। আক্রান্তরা সেখানেই চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, তাদের রুম জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এছাড়া যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও খাবার বিতরণ করছে তাদের জন্য পিপিই দেয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীন র‌্যাবের সদস্যদের সদর দফতরের মেডিকেল অফিসার, সিএমএইচ, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ও জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের জেনারেল দ্বারা জারি করা করোনা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল অনুসারে অক্সিজেন সিলিন্ডার, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, পোর্টেবল ইসিজি মেশিন, ২৪ ঘণ্টা জরুরি রোগী বহনের জন্য অক্সিজেন সুবিধার অ্যাম্বুলেন্সসহ যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে।

Advertisement

ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, র‌্যাব সদস্যদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই। যেহেতু তারা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, খাদ্য সহায়তাসহ আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাচ্ছে সেজন্য তাদের থেকে যেন অন্যদের মধ্যে না সংক্রমিত হয় সেজন্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তখন তাদের রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। সেই থেকেই তারা আইসোলেশনে আছেন। তিনি বলেন, ডিসপোজেবল প্লাস্টিকের পাত্রে তাদের তিন বেলা খাবার দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ফল, লেবু, আদা, লবঙ্গ, কালোজিরা ও প্রতিদিন চা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সুরক্ষায় দৈনিক ব্যবহারের জন্য ফেস মাস্ক, পিভিসি হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ন্যাপকিন দেয়া হচ্ছে। তাদের জন্য আলাদা প্রার্থনা কর্নার, গরম পানির বাথরুম, বৈদ্যুতিক কেটলি, টিভি ও সংবাদপত্র দেয়া হচ্ছে।

হোসেন চিশতী সিপলু/এফএ/এমএস