লকডাউন প্রত্যাহার করতে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বেশ কিছু সেবা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান লকডাউন বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লিকে পুনরায় খুলে দেয়ার সময় হয়েছে। আমাদেরকে করোনাভাইরাসকে সঙ্গী করে বসবাসের প্রস্তুতি নিতে হবে।
Advertisement
এর আগে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটিতে তৃতীয় দফায় নতুন করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১২২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন; তাদের মধ্যে এক হাজার ২৫৬ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমিত এলাকা ব্যতিত লকডাউন প্রত্যাহার করে নিতে প্রস্তুত আছে দিল্লি। তিনি বলেন, হাসপাতাল এবং কিটের বিবেচনায় আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি যে, সংক্রমিত এলাকাগুলো এখনও বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া সরকার বাকি এলাকাগুলোকে গ্রিন জোন হিসাবে ঘোষণা দেয়ার কাজ শুরু করতে পারে। জোড়-বিজোড়ের ভিত্তিতে দোকানপাট চালু করা যেতে পারে।
আম আদমি পার্টির এই নেতা বলেন, এমনকি লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে আমরা সেটি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত।
Advertisement
লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছেন কেজরিওয়াল। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন চালুর অনুমতি দেয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রাইভেট যানবাহনে দু'জন যাত্রী এবং চালক থাকতে পারবেন। মোটরসাইকেলে শুধুমাত্র চালকই থাকবেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের মোট কর্মশক্তির মাত্র ৩৩ শতাংশ অফিস করার অনুমতি পাবেন। এর মধ্যে আইটি হার্ডওয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং জরুরি পণ্য-সামগ্রীর সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যেতে পারে। কেজরিওয়াল বলেন, বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০ জন এবং শেষকৃত্যে ২০ জন অংশ নিতে পারবেন। তবে দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিং মল, মার্কেট, সিনেমা হল, জিমনেশিয়াম এবং সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে। ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আগের মতোই বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের, ১০ বছরের নিচের শিশু, গর্ভবর্তী নারী এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো র্দীর্ঘমেয়াদি রোগে যারা ভুগছেন তারা বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাবেন না।
সূত্র: এনডিটিভি।
Advertisement
এসআইএস/এমএস