কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা, নিয়মিত হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ নিয়মগুলো মেনে না চললে অতি দ্রুত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোববার (৩ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন, উত্তরোত্তর করোনায় আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। আজকে সর্বাধিক হয়েছে। যদি আমরা নিয়মগুলো না মেনে চলি তাহলে হয়তো অতি দ্রুতই এই এই সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। আমরা প্রত্যেকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি, নিজে সুস্থ থাকি, অপরকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করি। মাস্ক পরলে আমি নিজে যেমন সুরক্ষিত থাকব, আরেকজনও আমার কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে আমি যেমন নিজে সুরক্ষিত থাকব, আরেকজনকেও আমি সুরক্ষিত রাখতে পারব। আমরা সবাই করোনা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। এই যুদ্ধ মোকাবিলার অস্ত্রগুলো হলো হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোরভাবে পালন করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা। এই অস্ত্রগুলো আমরা যেন ব্যবহার করি, তাহলেই আমরা সফল হতে পারব।’
বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টার চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ২১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৬৮টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৩৪টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৬৬৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৫৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও দুজন। এদের একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছর, অপরজন ষাটোর্ধ্ব। একজন নারায়ণগঞ্জের, অপরজন রংপুরের বাসিন্দা। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৭ জনে।
Advertisement
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
পিডি/এমএফ/এমকেএইচ