দেশজুড়ে

শিলাবৃষ্টি পথে বসালো ১৫ কৃষককে

শীলাবৃষ্টিতে ঝালকাঠির রাজাপুরের বাগড়ি গ্রামের ধানসিঁড়ি নদী তীর এলাকার ১০ বিঘা জমির বাঙ্গি ও তরমুজ পচে খেতেই নষ্ট হচ্ছে। এতে পথে বসেছেন ১৫ কৃষক।

Advertisement

জেলায় বাঙ্গি ও তরমুজসহ অন্যান্য ফসলের বাম্পার ফলন হলেও সম্প্রতি ঝড়ের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার টানা শিলাবৃষ্টিতে পচে গেছে এসব ফসল। করোনার প্রাদুর্ভাবে যখন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে তখন বাম্পার ফলনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ অঞ্চলের তরমুজ চাষিরা। কিন্তু শিলাবৃষ্টি কেড়ে নিলো সব।

বাগড়ি গ্রামের হালিম সিকদার, মিজান সিকদার, ফারুক সিকদার, আতিক হাওলাদার, আমিন সিকদার ও রাজ্জাক তালুকদারসহ একাধিক কৃষক জানান, প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বাঙ্গি, তরমুজ, মিষ্টি কুমড়া ও জালি কুমড়ার সঙ্গে নানা ধরনের সবজি ও ফসল চাষ করেছিলেন তারা। ফলনও বেশ ভালোই হয়েছিল। প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার, সেচ, ওষুধ ও শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকারও বেশি। ফসল ভালো হওয়ায় ভেবেছিলেন লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে। কিন্তু সর্বনাশা শিলাবৃষ্টি কেড়ে নিলো তাদের সব স্বপ্ন। এখন চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে।

বাকিতে সার ও ওষুধ কেনা এসব কৃষক আরও বলেন, এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। ঋণের ব্যবস্থা না হলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে।

Advertisement

তবে এত ক্ষতি হলেও তাদের কোনো খোঁজ নেয়নি কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজউল্লাহ বাহাদুর বলেন, কৃষকদের সঙ্গে ফোনে আলাপ করে তাদের খোঁজ-খবর নেয়া হয়। তবে বাগড়ি এলাকার কৃষকরাও যোগাযোগ করেনি। বাগড়ি গ্রামের ধানসিঁড়ি নদী তীর এলাকার তরমুজের মাঠ পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সাধ্যমত বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হবে।

আতিকুর রহমান/এফএ/এমএস