আন্তর্জাতিক

নিউইয়র্কে ফার্মেসির পর মুদি দোকানেও করোনা পরীক্ষা

মহামারি করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি জনবহুল নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। তাইতো নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে মুদি দোকানেও হবে করোনার পরীক্ষা। এ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

Advertisement

দ্রুত ও ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে নানা রকম উদ্যোগের মধ্যে এটি নতুন। এর আগে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সরকার রাজ্যজুড়ে অন্তত ৫ হাজার ফার্মেসিতে করোনা পরীক্ষা করার ঘোষণা দেয়। এর আগে শুধু নির্ধারিত হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা হতো।

রাজের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকটা গোপনে করোনা প্রস্তুতির জন্য মুদি দোকানগুলোতে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরুর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য লোকও নিয়োগ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে নির্ধারিত দোকানগুলোতে।

সিএনএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী নিউইয়র্কের গভর্নরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, করোনা পরীক্ষার জন্য বিগত দুই সপ্তাহ ধরে রাজ্যজুড়ে মুদি দোকান ও কমিউনিটি সেন্টারে ১৫ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করে একটি সমীক্ষা তৈরি করা হয়েছে। আর তাতে দেখা গেছে যে, করোনা পরীক্ষা করা এসব মানুষের মধ্যে ১ দশমিক ৩ শতাংশ আক্রান্ত।

Advertisement

নিউইয়র্কের ফটেলে ফুড করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট রুডি ফুয়ের্তেস বলেন, ব্রঙ্কস ও ব্রুকলিন বেশ কিছু ফাইন ফেয়ার সুপারমার্কেট রয়েছে। এসব সুপারমার্কেটে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ পরীক্ষা করানো সম্ভব। সুপারমার্কেটের স্টোরগুলোতে দিনে অন্তত ২০০ অ্যান্টিবডিও পরীক্ষা করানো সম্ভব।

নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো গত ২৫ এপ্রিল রাজ্যজুড়ে ফার্মেসিতে করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টির ঘোষণা দেন। আজ শনিবার তিনি জানালেন, রাজ্যের প্রায় পাঁচ হাজার ফার্মেসির করোনার পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। তারাও যদি পরীক্ষা শুরু করে, তাহলে প্রতিদিন ৪০ হাজার ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করানো সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন কোনো অঙ্গরাজ্য কিংবা অঞ্চল নেই যেখানে করোনার প্রকোপ মহামারি আকার ধারণ করেনি। তবে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। দেশটির সবচেয়ে জনবহুল ওই অঙ্গরাজ্যে ২৪ হাজার ৩৬৮ জন মারা গেছে। এছাড়া আক্রান্ত প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার; যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক বেশি।

এসএ

Advertisement