আমদানি বাণিজ্যের জন্য বেনাপোল-পেট্রপোলের তিনটি প্রবেশদ্বার খুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার (০২ মে) দুপুরে ভারত থেকে আট ট্রাক পাটের বীজ বেনাপোল নো-ম্যানস ল্যান্ডে লোড আনলোড করা হয়।
Advertisement
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে কোনো পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক যাবে না। যার কারণে উভয় দেশের নো-ম্যানস ল্যান্ডে পণ্য ওঠা-নামা করছে। তবে বাংলাদেশি কোনো পণ্য এখনও আমদানি করেনি ভারত।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিয়ন এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি কামাল হোসেন বলেন, শনিবার ভারত থেকে আট ট্রাকে শুধু পাটবীজ এসেছে। পণ্য চালানগুলো পেট্রাপোল-বেনাপোলের তিনিটি গেট খুলে দিয়ে লোড-আনলোড করা হয়েছে। আট ট্রাকে ২০০ টনের মতো পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। পাটবীজের চালানগুলো পেট্রাপোল বন্দরে আটকে ছিল। ভারতে লকডাউনের কারণে এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। গত ৩০ এপ্রিল ভুট্টা, পান ও পাটবীজের প্রথম ২৫ টনের একটি চালান দেশে এই চেকপোস্ট দিয়ে এসেছে।
শনিবার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিজিবি সদস্যরা ভারতীয় ও বাংলাদেশি প্রতিটি ট্রাকে জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে ট্রাকগুলো স্প্রে করে। আমদানির সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরতে দেখা গেছে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী আসা-যাওয়ার প্রধান ফটকেও একটি জীবাণুনাশক স্প্রে ঘর বসিয়েছে বিজিবি। তবে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের পক্ষ থেকে নো-ম্যানস ল্যান্ডে কোনো স্বাস্থ্যকর্মীকে দেখা যায়নি। আমদানি কার্যক্রম চললেও বেনাপোল বন্দরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নো-ম্যানস ল্যান্ডে দেখা যায়নি।
Advertisement
বাংলাদেশের শ্রমিকরা ভারতের ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে পণ্য লোড করায় ঝুঁকি থাকছে বলেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সেদেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব পাটবীজ এসেছে। সঙ্গে রয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকরা। এদের থেকেও জীবাণু ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানে নেই কোনো চিকিৎসক। নেই কোনো জীবাণুনাশক ওষুধ।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, এসব পণ্য বেনাপোল বন্দরে নিয়ে পরীক্ষণ শেষে শনিবারই ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জামাল হোসেন/এএম/এমকেএইচ
Advertisement