করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভারতে আটকে থাকা যেসব বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বার্তায় বলা হয়েছে, লকডাউন শিথিল হলেও ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কোনো ধরনের ভ্রমণে পথিমধ্যে আইনগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
Advertisement
শনিবার (২ মে) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বার্তা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনার দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ (২ মে) দিল্লি হয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যোগে ১৫১ জন এবং চেন্নাই হয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যোগে ১৬৭ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। দিল্লি থেকে ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ভারতে চিকিৎসার জন্য আসা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী রয়েছেন। এছাড়া দিল্লি ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন। দিল্লি থেকে যাত্রার প্রাক্কালে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের একটি দল। চেন্নাই থেকে ফেরা যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী ও তাদের সঙ্গে শুশ্রুষাকারী হিসেবে আগত পরিবারের সদস্য। আগামী তিন দিনে মুম্বাই, কলকাতা ও দিল্লি থেকে বিমানযোগে আরও প্রায় চারশ’ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফেরানোর জন্য ভারত সরকারের সকল পর্যায়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। যারা এখনো দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তাদের আকাশ ও স্থলপথে দেশে ফেরানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে উভয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের দিক-নির্দেশনায় দুদেশ একসাথে কাজ করছে। ভারত থেকে পাঠানো বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ বাংলাদেশ বিমানের সৌজন্যে দেশে পৌঁছেছে।
Advertisement
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন। তারা ভারতে লকডাউনের আংশিক শিথিলতার সুযোগে দেশে ফেরানোর প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে সুবিধা লাভের চেষ্টা করছেন। কিন্তু হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারের অনুমোদন গ্রহণ ছাড়া আন্তঃরাজ্য ভ্রমণে পথিমধ্যে আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তারা ।
প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে নিয়মিতভাবে আপলোড করা হচ্ছে। স্থলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য পালনীয় নিয়মাবলী ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। হেল্পলাইনসমূহও চালু রয়েছে। তাই সকলকে হালনাগাদ তথ্যের জন্য হাইকমিশন প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিসমূহ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এইচএস/এইচএ/জেআইএম
Advertisement