বিনোদন

ভাবতাম পানি খেলে রোজা ভাঙবে না : পিয়া

ভাবতাম পানি খেলে রোজা ভাঙবে না : পিয়া

শোবিজে তার পথচলা শুরু হয় মডেলিং দিয়ে। অনেক দেশের নামি দামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে প্রথম বাংলাদেশি মডেল হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও অভিজাত ম্যাগাজিন ‘ভোগ’র প্রচ্ছদকন্যা হয়েছেন। মডেলিংয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনায়ও পেয়েছেন সাফল্য।

Advertisement

বিপিএলের সময়টায় মাঠে দেখা যায় তাকে। নাটকেও কাজ করেছেন। দেখা গেছে তাকে সিনেমায়ও। বহুমাত্রিক প্রতিভায় বিকশিত এ নারী পিয়া জান্নাতুল।

অনেকেই মনে করেন মিডিয়ায় কাজ করা তারকারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। সব তারকাই যার যার ধর্ম পালন করেন। মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। রোজা নিয়ে শুটিং করেন, ব্যস্ত থাকেন নানা রকম কাজে। মডেল, অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুলের কিছু অভিজ্ঞতা জানালেন রোজা নিয়ে। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

জাগো নিউজ : মনে পড়ে প্রথম রোজা রেখেছিলেন কবে? পিয়া জান্নাতুল : সত্যি কথা বলতে প্রথম রোজা রাখার স্মৃতি ঠিকমত মনে নেই। এটুকু বলতে পারি ছোটবেলায় রোজা রাখতে চাইতাম। একান্নবর্তী পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা। আমরা একসঙ্গে দাদা-দাদি, চাচাসহ পরিবারের আরও অনেক মানুষ মিলে একসঙ্গে সেহরি খেতাম ও ইফতার করতাম।

Advertisement

জাগো নিউজ : শৈশবে রোজার মজার কোনো স্মৃতি বলবেন?পিয়া জান্নাতুল : খুব ছোটবেলায় যখন রোজা রাখতে চাইতাম, তখন আম্মু বলতেন দিনের বেলায় অল্প খেলে রোজা ভাঙবে না, আমিও ভাবতাম পানি খেলে রোজা ভাঙবে না। এমন মজার অনেক স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় ইফতারের সময় অনেক খাবার খেতে পারতাম না, কিন্তু আমার সামনে অনেক খাবার থাকা লাগতো।

আমাদের যৌথ পরিবার ছিল তাই আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করতাম। আগে আব্বা আম্মা এসব আয়োজন করতেন। এখন আমার হাজবেন্ড করেন।

জাগো নিউজ : এখনকার রোজা আর ছোটবেলার রোজায় কী পার্থক্য?পিয়া জান্নাতুল : ছোটবেলা ও এখনকার রোজার ভেতর পার্থক্য হচ্ছে- আগে শুধু নিজের কথা চিন্তা করতাম, এখন সবার কথা চিন্তা করি। এখন শুধু নিজের ফ্যামিলিই না, ফ্যামিলির বাইরে মানুষ, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবি।

যতটুকু সম্ভব ততটুকুই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি মনে করি মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন প্রত্যেকটা মানুষের। মানবিকতা থাকলেই তো মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারে।

Advertisement

জাগো নিউজ : ইফতার ও সেহরিতে কী ধরনের খাবার প্রাধান্য দেন?পিয়া জান্নাতুল : আমি ইফতারের পরে রাত্রেও ভাত খাই আবার সেহরিতেও ভাত খাই। তবে একটু লাইট খাবার খাই। ইফতারে ছোলা, মুড়ি, শরবত এসব খাওয়া হয়। এগুলো বাড়িতেই তৈরি করা হয়। বাইরের খাবার খায় না। বাইরে থেকে শুধুমাত্র জিলাপি আনা হয়।

জাগো নিউজ : করোনাকালের এই ঘরবন্দী সময়ে রোজা নিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন?পিয়া জান্নাতুল : সবসময় ভাবতাম রোজার সময় যদি বাসাতেই থাকা যেত। এবার বাসাতেই থাকা হচ্ছে। আমার বাসায় থাকতে খারাপ লাগে না বরং বাসায় থাকতে ভালোই লাগে। কিন্তু এইবার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে, কারণ হলো সারা পৃথিবী থমকে গেছে।

ঘরে বসে বই পড়ছি, টিভি দেখছি, নিজের মত করে সময় কাটাচ্ছি, নিজের অনেক কাজ যেগুলো কখনোই করা হয় না সেগুলো করছি।

জাগো নিউজ : প্রথম ইফতার বা সেহরির কোনো স্মৃতি কি মনে পড়ে?পিয়া জান্নাতুল : ছোটবেলায় সেহরির সময় আম্মু আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতো। দাদা দাদী, চাচা, ফুফু সবাই একসঙ্গে সেহরি করতাম। দাদির রুমে বসে বসে সেহেরি করতাম। ভাত খাওয়া শেষ করে, আবার দুধ দিয়ে অল্প একটু ভাত খেতাম। এমনিতে দুধ খেতে ইচ্ছে করে না। আম্মু বলতো বেশি করে দুধ খেলে আর ক্ষুধা লাগবে না।

জাগো নিউজ : এবারের রোজায় বিশেষ কী প্রার্থনা করছেন?পিয়া জান্নাতুল : পৃথিবীটা আবারও আগের মতো হেসে উঠুক। এই দোয়াই করছি সব সময়।

এমএবি/এমকেএইচ