প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি এখনও ফুরিয়ে যায়নি। শেষ হয়নি কোটি কোটি মানুষের বন্দিদশাও। কিন্তু এরই মাঝে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসায় কিছু দেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে; ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য।
Advertisement
চলুন দেখে নেয়া যাক যেসব দেশ ধীরগতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে।
চীন: উহানে করোনার উৎপত্তি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বিশ্বে প্রথম দেশ হিসাবে লকডাউনে যায় চীন। বর্তমানে সংক্রমণ একক সংখ্যার ঘরে নেমে আসায় দেশটির বিভিন্ন শহরের বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কিছু শহরের লকডাউন প্রত্যাহারও হয়েছে। পর্যটকদের প্রিয় বেইজিংয়ের নিষিদ্ধ নগরীও খুলে দেয়া হয়েছে। তবে দর্শনার্থীর সংখ্যা সীমিত রাখা এবং শরীর চেকআপের মতো কিছু বিধি-নিষেধ এখনও কার্যকর আছে।
যুক্তরাষ্ট্র: চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি অঙ্গরাজ্য আংশিকভাবে খুলে দেয়া হবে। যদিও দেশটির কিছু শহরে এখনও করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে; তারপরও অর্থনীতির চাকা সচল ও মানুষের স্বাভাবিক জীবন ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সরকার।
Advertisement
ভারত: ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে লকডাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। ৩ মে থেকে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার লাগাম টানতে এই লকডাউন আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণার দেয়া হয়েছে। তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ কিছু এলাকায় লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। নতুন নতুন বেশ কিছু বিধি-নিষেধ চালু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
অস্ট্রেলিয়া: পূর্ব-নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশজুড়ে জারিকৃত লকডাউন শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, আমরা দেশকে লেপের নিচে রাখতে পারি না। আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া দরকার।
মালয়েশিয়া: সোমবার থেকে মালয়েশিয়ার অধিকাংশ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে নাইটক্লাব কিংবা সিনেমা হলের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সিঙ্গাপুর: করোনার বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউন আগামী ৫ মে থেকে শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর। এর দুই সপ্তাহ পর ১৯ মে থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও অচলাবস্থা কাটাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
সূত্র: সিএনএন।
এসআইএস/এমএস