জাতীয়

আধুনিক ও মডেল বিভাগ হবে ময়মনসিংহ

নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগকে আধুনিক ও মডেল বিভাগ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন। শনিবার ময়মনসিংহকে বিভাগে উন্নীত করায় আনন্দ র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ আনন্দ র্যালিতে অংশ নেয় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতিসহ ছয় জেলার সাংবাদিক সমিতি, জেলা সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ, ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম এবং ময়মনসিংহ কেন্দ্রিক ১৬টি সংগঠনের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় র‌্যালিটি বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব ঘুরে আবার শিখা চিরন্তনে এসে শেষ হয়। ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খানের সভাপতিত্বে র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব রাশিদুল হাসান শেলী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু, র্যালি ও সমাবেশ আয়োজন কমিটির সভাপতি ম. হামিদ ও ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের মহাসচিব প্রকৌশলী নুরুল আমীন।র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার, বিশিষ্ট ন্যাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ, জামালপুর জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ ক্যাপ্টেন অব. শফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা সমিতির সাধারন সম্পাদক পীরজাদা শহীদুল হারুন, ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ড. উৎপল কুমার সরকার, জামালপুর সাংবাদিক ফোরামের সদস্যসচিব উবায়দুল্লাহ বাদল, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী প্রমুখ। র্যালির আগে ও পরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন গান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরিবেশন করা হয়।প্রসঙ্গত, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলা নিয়ে ‘ময়মনসিংহ বিভাগ’ গঠিত হয়। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন দেয়া হয়। গত ১৩ অক্টোবর বিভাগ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এটি বাংলাদেশের অষ্টম বিভাগ।এআরএস/এমএস

Advertisement