প্রত্যেকের কাছে দেশ হচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্ম, আত্মপরিচয়ের কাঠামো যা তাকে বাঁচিয়ে রাখে, উদ্দীপ্ত করে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে। আমরা দেশকে আশ্রয় করে বেঁচে আছি, টিকে যাচ্ছি, এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ক’জন পারছি নিজের কাজ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে?
Advertisement
বাংলাদেশের গর্বিত সন্তান জেআরসি পেরেছিলেন। জামিলুর রেজা চৌধুরীকে কবে থেকে সবাই জেআরসি বলতে শুরু করেছিল, জানা নেই। মেগা জামিলুর রেজা চৌধুরী বলুন আর ন্যানো উচ্চারণে জেআরসি’ই বলুন, তফাত নেই। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এই মেধাবী মানুষটি বাংলাদেশকে সনাতন ভাবনার বলয় থেকে বের হয়ে আউট অব দ্য বক্স ইমেজ নিয়ে এগিয়ে নিতে পরিকল্পনা করেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। এ কারণেই একটা সময় এসে তিনি হয়ে উঠলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক স্বপ্নবাজ। তাই অনেক অনেক খেতাব আর পুরস্কার পেলেও জেআরসি বললেই আর কিছু বলা লাগেনি।
কার কথা বলা হচ্ছে, বুঝে যেত সকলেই। প্রেক্ষাপট নানা রকমের, ন্যানো থেকে মেগা, ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ, তবুও তাঁর কথা বলা যেত। এই দেশের কিস্যু হবে না বলতে বলতে মুখের ফেনা তুলে ফেলা মানুষগুলোও তাঁর কথা বলতে গেলে বাতিঘরের আলোকে কিছুতেই আড়াল করতে পারতেন না। কেননা, কিস্যু হবে না দেশের অনেকেই মেগা হয়ে উঠেছেন জেআরসি’র সাহায্য নিয়ে। কেউ দেশের মাটিতে, কেউ বিদেশ বিভুঁয়ে। আবার কিস্যু হতে না পারা ন্যানো মানুষগুলোর অজান্তেই তিনি তাদের মেগা হয়ে ওঠার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করেছেন।
আমার বাড়ি বাংলাদেশের দক্ষিণে। উন্মত্ত পদ্মা নদী পার হওয়ার অনেক লোমহর্ষক স্মৃতি আমার শৈশব থেকে শুরু করে গোটা জীবনেই আছে। দক্ষিণাঞ্চলের মাটির উর্বরতা, এই অঞ্চলের মানুষের অসাধারণ সাহস মেশানো শ্রম-অর্জন থেকে পদ্মা নদী বঞ্চিত করে দেশের অংশকে, বঞ্চিত হয় দক্ষিণের মানুষও। পদ্মা সেতু হবে হবে বলে কেটে গেছে কতকাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নটাকে বাস্তব করতে সত্যিকার অর্থে কাজ শুরু করলেন। স্বপ্নডানা মেলে উড়তে শুরু করলেও বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি শিরোনামের এক নাটক সাজিয়ে যখন অর্থ সাহায্য করা থেকে পিছিয়ে যায়, তখন পদ্মা নদীর বুকেও মিশেছিল স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট আর অপমানের সুগভীর যন্ত্রণা। গোটা জাতিকে অনাকাঙিক্ষত লজ্জা মেনে নিতে বাধ্য করতে কোনো কোনো মহল খুব আগ্রহী থাকলেও শিরদাঁড়া শক্ত করে এ জাতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাহস নিয়ে বলেছিল, আমাদের পদ্মা সেতু আমরাই বানাবো। আমাদের অর্থে নির্মিত হবে এই সেতু।
Advertisement
কিন্তু এতবড় অবকাঠামো গড়ে তোলার সামর্থ্য কি আমাদের আছে? ব্রেইন ড্রেইনের ফলে বাংলাদেশের সেরা মেধাবীরা চলে যান বিদেশে, কেননা এ দেশের কিস্যু হবে না বলে তারা বুঝে যান। এরপরও পদ্মা সেতু নির্মাণের পেশাগত সামর্থ্য আমাদের প্রকৌশলীদের আছে, এই সাহস প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন যিনি, তিনি বাংলাদেশের শুধু নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা অবকাঠামো প্রকৌশলীদের অন্যতম জামিলুর রেজা চৌধুরী, যিনি আপাদমস্তক বাংলাদেশের সন্তান। দেশকে এগিয়ে নিতে দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস থাকতে হয়, এই শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন হতে পারা বাংলাদেশ থেকেই। আর তাই পদ্মা সেতু নামক মেগাপ্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জেআরসি।
এর আগেও বিভিন্ন মেগা চ্যালেঞ্জ তিনি নিয়েছেন, প্রমাণ করেছেন তিনি একাই একশ। যমুনা সেতুর দেশীয় বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ছিলেন। বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার কর্মসূচির টিম লিডার ছিলেন। ১৯৯৩ সালে উপকূলীয় সাইক্লোন শেল্টারের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছিলেন জেআরসি। ঢাকায় যে মেট্রো চলবে, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলেরও প্রধান ছিলেন, আধুনিক ঢাকা নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করছিলেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো ছিল, মনে কি আছে সবার? পদ্মার মতো পাগলা নদীতে সেতু বানানো সম্ভব নয়, সেতু বানালেও এর উপর দিয়ে গাড়ি চলবে না, এ রকম কত বাণী কত মহাজন করেছেন, মনে আছে? মিডিয়াও সুবিচার করেনি সবসময়। বাজেট কেন বাড়ছে, কেন পিলার বসাতে দেরি হচ্ছে, পিলার বসলেও নদীর স্রোত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পদ্মা সেতু সম্ভব করতে মানুষের মাথা লাগবে ইত্তাকার নানা রিপোর্ট আমরা পড়েছি।
কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। বেশ কিছু পিলার নদীর তলদেশে মাটির যে স্তর পাওয়া গেছে, তা পিলার গেঁথে রাখার উপযোগী নয়। নদীর আরও গভীরে পাইল নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছিলেন বিজ্ঞজনরা, যদিও এতে সেতু ভেঙে বা দেবে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। তাছাড়া বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তির হ্যামার দিয়েও এত গভীরে ১৩০ মিটার পাইল ড্রাইভিং করা সম্ভবপর নয়। জেআরসি বলেছিলেন গভীরতা কমিয়ে পাইলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই পদ্ধতির নাম ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’, যা নদীর তলদেশে মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে পাইল ড্রাইভিং করা হয়। শুনলে অবাক হবেন, গোটা বিশ্বে এই পদ্ধতির প্রয়োগ খুব বেশি হয়নি। বাংলাদেশে এই প্রথম হলো, প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রস্তাবে চীন থেকে আসা বিরাট মাপের প্রকৌশলীরাও আপত্তি করেননি।
Advertisement
বিশ্বের বৃহত্তম সেতুগুলোর মাঝে ২৫তম স্থান লাভ করা পদ্মা সেতু চোখের সামনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। নদীর তীরে কান পাতলেই শুনতে পাবেন, প্রান্তিক মানুষগুলোর আত্মবিশ্বাসী স্বর। এই সেতুর ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগগ্রতির সূচক কোথায় উঠবে, তা নিয়ে এখন কত গবেষণা! আমরা যারা সেতুহীন পদ্মা পাড়ি দিয়েছি, তারা কি বুঝতে পারছি যে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেতু পাড়ি দিয়ে পদ্মা পার হবে যখন, তখন ‘কিস্যু হবে না’ নামক হতাশাব্যঞ্জক থিওরি তাদের গেলানো যাবে না। দেশটাকে হতাশাবাদীদের কবল থেকে উদ্ধার করার মেগাপ্রকল্পটি কতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা আমরা এখনও পুরোপুরি ভেবে উঠতে পারছি না। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। পদ্মা সেতুর জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার ওরফে জেআরসি’কে। পত্রিকা পড়ে জেনেছি, পদ্মা সেতুর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নিজের কিংবা তাঁর পরিবারের কারও নামে দিতে আগ্রহী নন। সেতুটির নাম ‘জেআরসি সেতু’ হতে পারে কিনা, ভেবে দেখুর বিনীত অনুরোধ রইলো দেশনেত্রীর প্রতি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, যমুনা সেতু-পদ্মা সেতু-কর্নফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য টানেলসহ বহু প্রকল্পের প্রধান পরামর্শকসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ পদে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। গবেষণা করতে ভালোবাসতেন। তাঁর গবেষণাপত্র দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের শিয়ার ওয়াল ডিজাইনের সহজ পদ্ধতি আবিষ্কারের কৃতিত্ব জেআরসি’র, যা সারাবিশ্বে ব্যবহৃত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ কতখানি সাফল্য অর্জন করেছে, সে ব্যাখ্যা এখন আর দিতে হয় না। মোবাইল টেলিফোনের নেটওয়ার্ক এখন দেশব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে, এখানেও তাঁর অবদান আছে। বুয়েটের কম্পিউটার সেন্টারটি তিনি নিজের হাতে গড়েছিলেন। অতিরিক্ত তরঙ্গ বরাদ্দে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল, যা উঠে যায় জেআরসি স্যারের পরামর্শে। ‘ব্রেইন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়টি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বোধগম্য করে তোলার যুদ্ধ করছিলেন তিনি। আফসোস! এই যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষা করলেন না।
মেগাপ্রকল্পের বীরসেনানি জেআরসি’র ন্যানো কৃতিত্ব কি কম? এই প্রচারমুখী মানুষটি মিডিয়াতে মুখ দেখানোর আগ্রহ দেখাতেন না। হালকা রঙের সাদামাটা পোশাক, পা খোলা জুতো পরা স্মিত হাসি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখা মানুষটি অবকাঠামোর চ্যালেঞ্জ বুঝতেন, ফটোসেশন বুঝতেন না। মিডিয়ার চোখে পড়েনি কত শত মানুষ ব্যক্তিগতভাবে জেআরসি’র সাহায্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, সেই সব তথ্য। বাংলাদেশি প্রকৌশলী-স্থপতিরা জেআরসি’র রেফারেন্স দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তিনি অভিভাবকের মতো দায়িত্ব নিতেন সবার। কোনো প্রজেক্টে বিদেশি চাওয়া হচ্ছে, খবর পেলেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন দেশি মেধাকে কাজে লাগানোর জন্য। বুয়েটের তো বটেই, প্রতিষ্ঠানের বাইরে এসে লাখো তরুণের কাছে স্বপ্ন জাগানোর ক্ষমতা ছিল তাঁর। কৃষিকাজ করা গ্রামের এক ছেলে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়ার পরও মোবাইলে পাঠানো ভর্তির দিনতারিখের তথ্য পায়নি বলে বাদ পড়ে গেলে খবর পেলেন জেআরসি। ছেলেটির স্বপ্নকে বৃথা হতে দেননি তিনি। দুই যুগ ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছিলেন কোনো প্রকারের বেতন বা সম্মানী ছাড়াই, কেননা তিনি বিশ্বাস করতেন এই শিশুরাও এ দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার কারিগর।
বুয়েটের স্থাপত্য অনুষদে পড়তাম। থার্ড ইয়ারের এক ক্লাস প্রজেক্ট নিয়ে দেখা করেছিলাম স্যারের সাথে। থিমেটিক প্রজেক্ট, পেশাজীবী ক্লায়েন্টের বাড়ি বানাতে হবে। ক্লায়েন্ট বেছে নিতে হবে পছন্দমতো। আমি নিয়েছিলাম প্রিয় কল্পবিজ্ঞান লেখক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে। উন্মাদে কার্টুন আঁকি, উন্মাদ সম্পাদক আহসান হাবীব ভাইয়ের সাহায্যে আমার ‘ক্লায়েন্ট’ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলাম। কয়েক একরের পাহাড়ি জমিতে প্রিয় কল্পবিজ্ঞান লেখকের বাড়ির নকশা করছি। পাহাড়ের ভেতরে বাড়ি ঢুকিয়ে দিলাম। মাটির চাপ নিতে পারার মতো স্ট্রাকচার ডিজাইন করেছি বটে, ড. জামিল স্যারকে দেখাবো বলে হাজির হয়েছিলাম এলিফ্যান্ট রোডে স্যারের পুরোনো বাড়িটাতে, যা পরে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এক আশ্চর্য সুন্দর সরল সকালে স্যার অনেকক্ষণ সময় দিলেন আমাকে। ডিজাইনের কোথাও কোনো কিছু এ রকম না হয়ে আরেক রকম হলে ভালো হতো বলে তিনি আমার আত্মবিশ্বাসকে দমিয়ে দেননি।
শিশু অ্যাকাডেমি থেকে বের হওয়া আমার প্রথম অদ্ভুতুড়ে স্টাইলের বিজ্ঞান বই ‘কিজিমামার মিউজিড়িয়া’ দিয়েছিলাম স্যারকে। খুব উৎসাহ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞানচর্চা ঘরে ঘরে অভ্যাসে পরিণত হলে কী দারুণ ঘটনা ঘটবে, তার জন্য বিজ্ঞানলেখক কতখানি জরুরি জানিয়ে স্যার আমাকে বিজ্ঞানলেখক হওয়ার পথে গাঁট হয়ে থাকার সাহস দিয়ে দিয়েছিলেন আসলে। এরপর সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলাম, স্যারের সাথে দেখা হলে ভেবেছিলাম স্বপ্নবাজ স্থপতি আমলা বনে গেল জেনে স্যার রাগ করবেন। স্মিত হাসি ঝুঁলিয়ে তিনি কিন্তু আবারও উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমলাতন্ত্রে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি বেশি যোগ দেয়া উচিত বলে মতামত দিলেন, অন্যরা কে কোথায় আছে জানতে চাইলেন। দেশের মানুষের সরাসরি উপকারে আসার সুযোগ আসার জন্য অপেক্ষা নয়, সুযোগ তৈরি করে নেয়ার উপদেশ দিতেন। অস্বীকার করার সাধ্য নেই, স্যার দেশপ্রেমের জ্বলজ্বলে উদাহরণ ছিলেন, আলোর মতো ছড়িয়ে দিতেন চারপাশের সবার মাঝে এবং এর জন্য তাঁর কোনো উপলক্ষের প্রয়োজন পড়তো না।
২০২০ সালটা করোনাভাইরাসের কবলে মানবতার নাজেহালের বছর। বাংলাদেশে মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া মৃত্যুর আতঙ্ক এপ্রিলে এসে নিষ্ঠুর হয়ে উঠল, মৃত্যু আর ক্ষুধার ভয়াবহতা নিয়ে আমরা যখন দিশেহারা হয়ে উঠছি, তখন যে বাতিঘর আমাদেরকে বরাবরের মতো দেশ বাঁচানোর সাহস জোগাবেন বলে ভেবেছিলাম, তা আর হয়ে উঠলো না। আটাশ তারিখের সকালটা যখন এলো, তখন একুশে পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার, আমাদের প্রিয় জেআরসি স্যার হারিয়ে গেছেন চিরঘুমের দেশে।
আমরা কেন কাঁদছি? তাঁর মৃত্যুতে, নাকি তাঁর চলে যাওয়াতে যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হলো তার জন্য কি আমরা কাঁদছি?
এইচআর/বিএ/এমএস