করোনার বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে শত শত অবৈধ অভিবাসী শ্রমিক ও শরণার্থীদের আটক করেছে মালয়েশিয়া সরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই খবর দিয়ে বলছে, মহামারির মধ্যে যেখানে মানুষের চলাচল ও ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে সেই মুহূর্তে এমন আটকের ঘটনা উদ্বেগের।
Advertisement
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউমান রাইটস ওয়াচ এবং দ্য এশিয়া প্যাসফিক রিফিউজি নেটওয়ার্ক বলছে, মালয়েশিয়ায় ৭ শতাধিক অভিবাসীকে আটকের পর জেল হাজতে নেয়া হয়েছে; তাদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীও রয়েছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুাযায়ী অভিবাসীদের নিয়ে মালয়েশিয়ার জনগণের মধ্যে এক ধরনের ক্রোধের তৈরি হয়েছে। অনেক মালয়েশিয়ান এসব অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থীদের বিরুদ্ধে করোনার বিস্তার ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বলছেন, তারা দেশের সরকার ও দেশের মানুষের জন্য বোঝা হয়ে রয়েছেন। নষ্ট করছে সরকারি সম্পদ।
মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০ লাখ নিবন্ধিত বিদেশী শ্রমিক রয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের ধারণা, উপযূক্ত নথিপত্র ছাড়াই আরও অনেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দেশটিতে বসবাস করছেন। প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত কোনো শরণার্থী নেই। দেশটির সরকার এসব মানুষকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে।
Advertisement
মালয়েশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১০৩ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২০০ এর বেশি রোগী। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে লকডাউন চলছে।
এসএ