ক্রিকেটের বড় একটা শক্তি। অথচ পাকিস্তানকে ‘একঘরে’ করে রাখা হয়েছে। সেই ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, এরপর থেকে বড় দলগুলো পাকিস্তানে যেতে নারাজ।
Advertisement
ওই সন্ত্রাসী হামলা হওয়া সফরে ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারাও। চোখের সামনে দেখেছেন বিভৎসতা। অথচ লঙ্কান এই কিংবদন্তিই এখন পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোকে।
ঐতিহ্যবাহী মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) প্রেসিডেন্ট সাঙ্গাকারা। তার কথার আলাদা একটা মূল্য তো আছেই। তিনি মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে বড় বড় দলগুলোর এখন খেলতে যাওয়া উচিত।
নিজে না গিয়ে এমন কথা বলছেন না সাঙ্গাকারা। গত ফেব্রুয়ারিতে এমসিসি দলের হয়ে পাকিস্তান সফর করেছেন লঙ্কান এই ব্যাটিং কিংদন্তি। দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দর্শকদের আগ্রহ উদ্দীপনা মুগ্ধ করেছে তাকে।
Advertisement
পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে শ্রীলঙ্কাই। গত নভেম্বরে তারা টেস্ট সিরিজ খেলেছে সেখানে গিয়ে, এটিই ছিল ২০০৯ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট।
বাংলাদেশও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে তারা টেস্ট খেলে এসেছে, খেলেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। দুই দফা সফরের পর তৃতীয় দফায় যাওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
তবে সাঙ্গাকারা মনে করছেন, শুধু এশিয়ান দলগুলো খেলতে গেলেই হবে না। পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে এগিয়ে আসতে হবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে।
সাঙ্গাকারা বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে বলতে গেলে শুধু এশিয়ান দলগুলো কিংবা দ্বিতীয় সারির দল সেখানে খেলতে গেলে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না। আমার মনে হয়, ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার সেখানে খেলতে যাওয়ার কথা ভাবা উচিত। যদি তারা এটা নিয়ে আলোচনা করতে চায়, তবে এমসিসি সফরটা সহায়ক হবে।’
Advertisement
তবে শ্রীলঙ্কার হয়ে ২৮ হাজার আন্তর্জাতিক রান করা সাবেক এই ব্যাটসম্যান এটাও মানছেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য পাকিস্তান সফর করার সময় এখনও আসেনি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, সেখানে সামনেই পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ টানা হবে। আমার মনে হয়, সেখানে দুই টেস্ট খেলে, তারপর বিরতি নিয়ে আরেকবার গিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, এভাবে খেলা যায়।’
সাঙ্গা যোগ করেন, ‘এখনই বড় সফরের সময় হয়নি। তবে আমি নিশ্চিত ভালো যোগাযোগ এবং বোঝাপড়া থাকলে খেলোয়াড়রা সেখানে গিয়ে কোয়ালিটি ক্রিকেট খেলতে পারে। সেটা দারুণ হবে এবং পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরবে।’
এমএমআর/জেআইএম