মাদারীপুরের শিবচরের উমেদপুরে গোপনে ঢাকার জুরাইনের এক মাংস বিক্রেতার (৫৯) জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনার তিন দিন পর ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসায় তার গ্রামের ২৫টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ওই ব্যক্তির করোনা শনাক্তর খবর শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৌঁছালে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই ব্যক্তির মেয়েও জ্বর-ঠান্ডায় ভুগছেন। একই পরিবারের আরও একজন বৃহস্পতিবার ঢাকায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান। ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই রাতেই তাকে শিবচরের উমেদপুরে নিজ বাড়িতে আনা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি গোপন করে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করে স্বজনরা। জানাজা ও দাফনে এলাকাবাসীও অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে তার করোনা শনাক্তের খবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের কাছে পৌঁছায়। দুপুরে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে ওই বাড়িসহ সংস্পর্শে আসা ২৫টি বাড়িকে লকডাউন করেন।
Advertisement
ওই ব্যক্তির এক স্বজন বলেন, তিনি যাওয়ার পর তার মেয়েও গলা ব্যথা ও ঠান্ডায় ভুগছেন। এছাড়া তাদের পরিবারের একজন ঢাকায় মারা গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, যে ব্যক্তি মারা গেছেন তার অসুস্থ মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। এভাবে গোপন রাখলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গোপনীয়তার সঙ্গে খুব তড়িঘড়ি করে ওই ব্যক্তির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছে স্বজনরা। আমরা করোনা পজিটিভ নিশ্চিত হওয়ার পর ২৫টি বাড়ি লকডাউন করেছি। ওই বাড়িসহ এলাকায় লাল ফ্লাগ টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত শিবচরে মোট আক্রান্তর সংখ্যা ২০ জন। এদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। সুস্থ ১৩ জন এবং বাকি ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এ পর্যন্ত মাদারীপুর জেলায় ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
Advertisement
এ কে এম নাসিরুল হক/এমএসএইচ/এমএস