জাতীয়

২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ পিএসসি’র

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসেবে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার পিএসসি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৯তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা গত বছরের ৩০ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন ৮ হাজার ১০৭ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদে নিয়োগের জন্য যথাযথ বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ২ হাজার প্রার্থীকে পিএসসি থেকে সাময়িকভাবে চিকিৎসক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সাময়িকভাবে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ তালিকা কর্মকমিশনের ওয়েবসাইট boschen.gov.bd অথবা টেলিটকের মাধ্যমে bps.teletalk.com.bd এর মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নিয়োগের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে আসে। ওই চাহিদাপত্রে দ্রুত নিয়োগ নিষ্পত্তি করার তাগিদ দেওয়া হয়। পরে এ নিয়ে ওইদিনই বিশেষ সভা ডাকে পিএসসি। নিয়োগগুলো কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই সভায়।

Advertisement

পিএসসি সূত্র জানায়, প্রথমে ৩৯তম বিসিএসে অপেক্ষমাণ তালিকার চিকিৎসকদের নন-ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ করার কথা থাকলেও এই ২ হাজার চিকিৎসককে ক্যাডার হিসেবেই নেওয়া হচ্ছে। তারা প্রথম শ্রেণির ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এরপরই ৩৯তম বিসিএসে পাস করা উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার ৮ হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে এই তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আরো ৫৬৪ জনকে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।

পিএসসি জানায়, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে কীভাবে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ করা যায়, তা নিয়ে কাজ দ্রুতগতিতে করছেন তারা। মেধার ভিত্তিতেই ২ হাজার চিকৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে নার্স নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও পিএসসিকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। সভায় পিএসসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগের একটি নিয়োগ কার্যক্রম থেকে এই নার্সদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০১৭ সালের ওই নিয়োগ পরীক্ষার পর ৫ হাজার ১২৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ আছেন ৫ হাজার ৫৪ জন। সরকার যে ৬ হাজার নার্স নিয়োগ চাইছে, সে অনুসারে এখান থেকে প্রায় সবাইকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করে পিএসসি।

পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘৩৯তম বিশেষ বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে এবং ২০১৮ সালের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নার্স নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই পরীক্ষিত। সবাই পাস করেছেন। পদ কম থাকার কারণে আমরা তাদের নিয়োগের সুপারিশ করতে পারিনি, তাই অপেক্ষমাণ তালিকায় রেখেছি।’

Advertisement

চিকিৎসকদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন

এমএইচএম/এসএইচএস/এমকেএইচ