দেশজুড়ে

জরুরি রফতানি কাজে নিয়োজিত কাভার্ডভ্যানে পণ্যের বদলে এলো মানুষ

‘জরুরি রফতানি কাজে নিয়োজিত’ লেখা একটি কপাট আটকানো কাভার্ডভ্যানে নারায়ণগঞ্জ থেকে পণ্যের বদলে সিলেটের বিশ্বনাথে মানুষ পরিবহন করে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।

Advertisement

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সিলেটসহ সারাদেশ লকডাউন। জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ। নিষিদ্ধ করা হয়েছে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাতায়াত।

এ অবস্থার মধ্যেও কিছু মানুষ কাভার্ডভ্যানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে যাতায়াত করছে জরুরি সেবার পরিবহনগুলোতে। বেশিরভাগ দূরপাল্লার রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে জরুরি প্রয়োজনে চলা কাভার্ডভ্যানে পণ্যের বদলে ঢাকা থেকে বিভিন্ন এলাকায় মানুষ পরিবহন করে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এসব মানুষের মাধ্যমে দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের গাছতলা নামক এলাকায় রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স রুপা এন্টারপ্রাইজ নামক জরুরি রফতানি কাজে নিয়োজিত (ঢাকা-মেট্রো-ড ১৪-৬০২৪) একটি কাভার্ডভ্যান মানুষ নিয়ে আসায় বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এলাকাবাসী সেটি জব্দ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, জরুরি রফতানি কাজে নিয়োজিত লেখা ওই কাভার্ডভ্যানে ঢাকা থেকে দুটি পরিবারের ১৮ জন মানুষ নামতে দেখেছেন তারা। এর মধ্যে আটজন নারী, তিনজন পুরুষ ও দুজন শিশু ছিল। বাকিদের চাদরে মুখ ঢাকা ছিল।

তারা আরও জানান, গত কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জে বিশ্বনাথ উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামের আপ্তাব আলী ও জহুরার দুই মেয়ের বিয়ে হয়। সে সূত্রধরে একই পরিবারের সাতজনসহ বাকিরা চাকরি সূত্রে সেখানে বসবাস করে আসছেন। নারায়ণগঞ্জে করোনা মহামারি আকার ধারণ করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা সবাই গ্রামে আসার চেষ্টা করেন। বুধবার তারা একটি কাভার্ডভ্যান ভাড়া করে নারায়ণগঞ্জ থেকে রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে ফেরেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে রামপাশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য শামীম আহমদের মোবাইলে বারবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে পুরানগাঁও গ্রামের মুরব্বি সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন কুদ্দুস বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মানুষগুলো গ্রামের মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সে কারণে তাদের এখনই ঘরে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে না পারলে সংকট বাড়তে পারে।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ শর্মা বলেন, কাভার্ডভ্যানটি আপাতত থানায় আছে। যেহেতু গাড়িতে অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি, আটক করার প্রশ্নই আসে না। একটা মামলা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে।

Advertisement

ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস