দেশে ত্রাণ চুরির ঘটনায় সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার সমালোচনা করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যদি কেউ নয়-ছয় করে, তাদেরকে জেলে পাঠানো হবে। চোররা দলীয় লোক হওয়ার কারণে কাউকে জেলে পাঠানো হচ্ছে না। এতে করে জনমনে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর এবং যত্নশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোনো অবস্থাতেই যেন অসহায়, হতদরিদ্র এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের লোকেরা বাদ না পড়ে।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এলডিপির সাংগঠনিক সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন কর্নেল অলি আহমদ।
তিনি বলেন, দেশে অদ্ভূত সরকার, যাদের কাছে মানুষের কোনো মূল্য নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার পদক্ষেপ না নিয়ে লকডাউন শিথিল করেছে।
Advertisement
কর্নেল অলি বলেন, এ মুহূর্তে লকডাউন আরও কঠোর করার প্রয়োজন ছিল। গত ২-৩ দিন যেভাবে লকডাউন অমান্য করা হয়েছে তাতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তিনি বলেন, সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু যুক্তিতর্ক এবং টেলিভিশনের বক্তব্যের মধ্যে নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে।
এলডিপি সভাপতি বলেন, ক্ষমতার লোভ এবং অহংকার পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। ক্ষমতায় বসলে সবকিছু জায়েজ মনে হয়। অন্যকে মানুষ মনে হয় না। মানুষকে মর্যাদা দিতে চায় না। করোনার মতো মহামারির পরেও থেমে নেই ক্ষমতাসীনদের চাল চুরি, রিলিফের মাল চুরি, টাকা চুরির ঘটনা। প্রতিদিন পত্রিকার কাগজে শিরোনাম হচ্ছে এই চুরির খবর। অথচ কোথাও কোনো বিচার নেই।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস কয়েকশত বছরের মধ্যে একটি বহুল আলোচিত দুঃস্বপ্ন এবং আতঙ্ক। সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। সবকিছু একাকার করে দিয়েছে। কারণ আমরা অমানুষ হয়ে গেছি। আল্লাহর শাসন মানতে আমাদের অনীহা। যত্রতত্র মদ্যপান, বেহায়াপনা, সুদ, ঘুষ, মুনাফাখোরি, অবিচার, অনাচার, অত্যাচার, উলঙ্গতা, ক্ষমতার লোভ এবং অহংকার পৃথিবীকে গ্রাস করেছে।
কেএইচ/এসআর/জেআইএম
Advertisement