জাতীয়

করোনায় জীবন দিলেন আরও দুই পুলিশ সদস্য

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আরও দুই সদস্য। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার রাতে মারা যান তারা।

Advertisement

তাদের একজন হলেন ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণে কর্মরত এএসআই আব্দুল খালেক (৩৬)। আরেকজন ট্রাফিক উত্তরের বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২)।

তাদের মৃত্যুর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর এএসআই আব্দুল খালেককে আরামবাগে একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেয়া হয়। বুধবার তার করোনার পরীক্ষার নমুনা পাঠানো হয়। রিপোর্টে তার করোনায় পজিটিভ আসে। এদিন বিকেল থেকে আব্দুল খালেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন কোয়ারেন্টাইনে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

আব্দুল খালেকের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে। তার বাবার নাম আজিম উদ্দিন মৃধা।

সহকর্মীরা জানিয়েছেন, শান্ত, বিনয়ী, দায়িত্বপরায়ন ও কর্তব্য পালনে নিরলস, নিরহংকার, সদা হাস্যোজ্জ্বল স্বভাবের ছিলেন এএসআই আব্দুল খালেক। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

অন্যদিকে ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরের সহকারী কমিশনার (এডমিন) বদরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ট্রাফিক উত্তরের বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মারা যান।

তিনি বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তাকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুলিশ তত্ত্বাবধানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টারে রাখা হয়। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে।

Advertisement

বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। তার বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়।

বাংলাদেশে করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী হলেন কনস্টেবল জসিম। তিনি মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মারা যান। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমিপ) ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে।

জেইউ/জেডএ/এমএস