চট্টগ্রামের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয় গত রোববার (২৬ এপ্রিল)। মাত্র তিনদিনের মাথায় এলো দুঃসংবাদটা।
Advertisement
বুধবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডি ল্যাবে ১১৩টি নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামে নতুন আরও চারজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর একজন নগরের ইপিজেডের বিএসসি মেরিন ওয়ার্কশপে কর্মরত বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে এখন মোট করোনারোগীর সংখ্যা ৭২ জনে দাঁড়াল।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এসব বিষয়ে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, বিআইটিআইডিতে আজ ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। এদের চারজন চট্টগ্রামের ও একজন ফেনীর বাসিন্দা। চট্টগ্রামের রোগীদের মধ্যে একজন নগরের ইপিজেড এলাকার, একজন নগরের কালুশাহ নগর, একজন দামপাড়া পুলিশলাইন্স ও একজন নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা।
Advertisement
চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত হওয়া চারজনের মধ্যে একজন ইপিজেড এলাকার বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মেরিন ওয়ার্কশপের কর্মচারী (৫২)। আরেকজন নগরীর নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা (৪৫)। দামপাড়া পুলিশ লাইনে আবারও আক্রান্ত হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। সীতাকুণ্ডের কালুশাহ নগরের বাসিন্দা, বয়স ৫০ বছর। শনাক্ত হওয়া চারজনই পুরুষ বলে জানা গেছে। এছাড়া ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলায় রয়েছেন এক পুরুষ রোগী, যার বয়স ৩৮ বছর।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল থেকে হঠাৎই চট্টগ্রাম ইপিজেডের পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়ায় এখানে করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা প্রাদুর্ভাবের মাঝেই কারখানা খোলার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধের কথা বলা হলেও এর কিছুই মূলত চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোতে মানা হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, করোনাকে মাথায় নিয়ে এভাবে পোশাক কারখানা খুলে দেয়ায় পরিস্থিতির শুধু অবনতিই ঘটাবে না বরং ম্যাসাকার ঘটতে পারে, যে ক্ষতি কোনোভাবেই আমরা সামাল দিতে পারবো না।
আবু আজাদ/বিএ
Advertisement