যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১১ চিকিৎসকসহ ২৮ স্বাস্থ্যকর্মীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বুধবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্র মতে, ২৩ এপ্রিল হাসপাতালের দুইজন রোগী তথ্য গোপন করে মেডিসিন ও করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হন। পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসকের সন্দেহ হলে রোগীদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য বলেন। পরে ২৫ এপ্রিল রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ল্যাবে পাঠানো হয়। ২৬ এপ্রিল রিপোর্টে ওই দুই রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনারি ও মেডিসিন ওয়ার্ড লকডাউন ঘোষণা করে। পরে রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মচারীকে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বুধবার অফিসিয়াল আদেশে হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসক, ১১ সেবিকাসহ ২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, দুই রোগী তথ্য গোপন করে ভর্তি হওয়ার কারণে হাসপাতালে কর্মরত ২৮ জনকে একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যাদের পাঠানো হয়েছে তাদের নমুনা করোনা পজিটিভ এলে হাসপাতাল লকডাউন করা লাগবে। ফলে জেলার মানুষের সেবাবঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
মিলন রহমান/এফএ/এমকেএইচ