ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ঘনবসতি এলাকা মুগদা। এলাকার প্রধান সড়কের মধ্যে বেশ কিছু গলি রয়েছে। দক্ষিণ মুগদার ২০ নম্বর গলি থেকে কাজী জাফর স্কুলের সড়ক অন্যতম। প্রধান সড়কসহ মতিঝিল কমলাপুর এলাকায় যাতায়াতে এ গলি ব্যবহার করা যায়।
Advertisement
এখানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ব্যস্ততম রাস্তাটি বন্ধ। সোয়ারেজ পাইপ বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এক বছর আগে পাইপ বসানো হলেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণ মুগদা এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোয়ারেজ পাইপ বসানোর জন্য় প্রায় দেড় বছর আগে রাস্তাটি খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। তখন থেকেই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে আছে। এরপর পাইপ বসানোর হলেও রাস্তার সংস্কার হচ্ছে না তাও প্রায় এক বছর হলো। কিন্তু সংস্কারের খবর নেই। প্রায় দেড় বছর রাস্তাটিতে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। ইট ও খোয়ার ফেলে রাখার কারণে অনেক জায়গায় হাঁটাও যায় না। এতে এলাকার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে আছেন।
মোহাম্মদ আলী নামের এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, গত দেড় বছর ধরে সমস্যায় আছি। কোনো সমাধান হচ্ছে না। গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আমার ছেলের বৌ অসুস্থ্য ছিল অ্যাম্বুলেন্স এনেছিলাম রাস্তা বন্ধ, তাই গলির ভেতরে ঢোকাতে পারিনি। সোয়ারেজ লাইনের স্ল্যাব ঢেলে রেখেছে। রাস্তা না হওয়ায় চলাচলও করা যাচ্ছে না। খুব বাজে অবস্থা। কমিশনারের বাড়িও এ গলিতে। প্রতিদিনই মানুষের এ সমস্যা তিনি দেখছেন। তাহলে আর কার কাছে বলবো?
এলাকার এক মুদি দোকানি জানান, রাস্তাটা প্রায় এক দেড় বছর চলাচল অনুপযোগী। ঠিকমতো মালামাল আনা যায় না। কাস্টমারও কমে গেছে। এ অবস্থায় ব্যবসা করা দায় হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে আছি আমরা দেখার কেউ নেই। অনেকদিন পড়ে থাকার পর যাও কাজ শুরু হয়েছিল, করোনার কারণে আবার তা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কবে ঠিক হবে তা কে জানে।। তারপরও এলাকার লোকজনের দাবি, যে করেই হোক রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়। সংস্কার না করায় রাস্তা বেহাল দশা স্বীকার করে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএম সিরাজুল ইসলাম ভাট্টির জাগো নিউজকে জানান, রাস্তাটি সংস্কার না করায় গত এক বছরের মতো এ এলাকার মানুষ সমস্যায় আছে। যে কন্ট্রাকটার কাজটি পেয়েছে সে ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করছে না। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য নগর ভবনে একাধিকবার জানিয়েছি। এ নিয়ে ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান ও জোনাল প্রকৌশলী হারুন সাহেবকেও একাধিকবার বলেছি কাজে আসেনি। আর কি করার আছে। ঠিকাদাররা ওপর মহলকে খুশি করে কাজ আনে। তাই আমাদের কথা কানে নেয় না। আমাদের কিছু করারও থাকে না। তাদের ইচ্ছামতো কাজ করেন। এসআই/এমএসএইচ/এমকেএইচ
Advertisement