করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিম উদ্দিনকে (৩৯) কুমিল্লায় সমাহিত করা হয়েছে। বুধবার বাদ আছর জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
Advertisement
এর আগে ঢাকা থেকে পুলিশের একটি বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্সযোগে জসিমের মরদেহ গ্রামে আনার পর কঠোর স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্য দিয়ে কয়েকজন নিকটাত্মীয়সহ ১৩ জনের অংশগ্রহণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জসিম ওই গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে। সে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী জোনের ওয়ারী থানায় কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানাজা ও দাফন কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক মৃত জসিমের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গত ২৪ এপ্রিল করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তাকে পাঠানো হয় পুলিশি তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে মারা যান। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বুধবার সকালের দিকে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসে।
Advertisement
ওসি আরও বলেন, করোনার এ সংকটকালে জাতির সেবায় পুলিশ কনস্টেবল জসিম যেভাবে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে, একই সঙ্গে পরিবারকেও গর্বিত করবে।
এদিকে কনস্টেবল জসিমের মৃত্যুর খবরে তার বন্ধু মহল, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার সর্বস্তরের লোকজন ওই এলাকায় ভিড় জমাতে চাইলেও পুলিশ করোনার ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে লোকজনকে দূরে সরিয়ে দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যেই জানাজা ও দাফন শেষ করে নেয়। জানাজা ও দাফনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু, ওসি (তদন্ত) মাসুদ খান, বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ও এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার ।
মো. কামাল উদ্দিন/এমএএস/এমকেএইচ
Advertisement