নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ওএমএস কার্ড পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি চাহিদা দেয়া হয়েছে। দ্রুত সেগুলো পাব।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ৪৯০ টন চাল পেয়েছি। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল-ডাল বিতরণ করেছি।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে বিশেষ ওএমএস’র চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র আইভী বলেন, আমরা মেডিকেল টিম গঠন করেছি। প্রতিদিন ১৬ জন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চারটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রোগী বহন করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। চারজন টেকনিশিয়ানের মধ্যে তিনজনই অসুস্থ। একজন আপাতত কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ৫১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিভিল সার্জনও আমাদের সহযোগিতা করছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জে একটি ল্যাব উদ্বোধন করেছেন। এতে আমাদের উপকার হবে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ল্যাবের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
মেয়র আইভী বলেন, আমাদের এই দুর্যোগে সুইপাররা প্রতিদিন কাজ করছেন। তাদের স্যালুট না দিলেই না। আমাদের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। যেকোনো দুর্যোগে স্থানীয় কাউন্সিলররা কাজ করেন। করোনার সময়েও লাশ দাফন থেকে শুরু করে সব কাজে কাউন্সিলররা কাজ করে যাচ্ছেন। চাল দেয়া থেকে শুরু করে কবরস্থান, শ্মশান সব জায়গাতেই সবাই যাচ্ছেন। সবাই কাজ করে যাচ্ছেন; হয়তো কেউ মিডিয়া কাভারেজ বেশি পাচ্ছেন কেউ কম পাচ্ছেন। কিন্তু কাজ ঠিকই করছেন সবাই। আমি সব কাউন্সিলরকে ধন্যবাদ জানাই।
আইভী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ভালো আছে, ভালো থাকবে। এটা শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। এখানে প্রচুর মানুষের বসবাস। এই জেলা থেকে কারও মধ্যে করোনা ছড়ায়নি। বরং অন্য জেলা থেকে আসা লোকজন এখান থেকে করোনাভাইরাস অন্যত্র ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/এমকেএইচ
Advertisement