জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে ফোন, পোশাকের কোনো অর্ডার বাতিল করবে না সুইডেন

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া পোশাক খাতের কোনো অর্ডার বাতিল করবে না সুইডেন।

Advertisement

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে এ কথা বলেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফ্যান লোফভেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে রফতানিমুখী পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলমান থাকলেও বাংলাদেশ তৈরি পেশাকখাতে বৈশ্বিক ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ পূরণ করতে সক্ষম হবে।’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ২টার দিকে টেলিফোন করে শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৫ মিনিটের কথোপকথনে উভয় নেতা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশেষকরে তৈরি পোশাকখাত নিয়ে কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন- আমরা আশাবাদী, সুইডেনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের তৈরি পোশাক সংক্রান্ত ক্রয়াদেশ পূরণ করতে সক্ষম হব। যদিও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বর্তমান অবস্থার সৃষ্টি করেছে।’

এই সম্পর্কে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন যে, তার দেশ তৈরি পোশাক সম্পর্কিত বাংলাদেশের কোনো ক্রয়াদেশই বাতিল করবে না। ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি অব্যাহত রাখব,’ বলেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী।

প্রেস সচিব বলেন, ‘দুই দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিও উভয় নেতার আলোচনায় উঠে আসে। উভয় প্রধানমন্ত্রীই করোনা মহামারি মেকাবিলায় উভয় দেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।’

Advertisement

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে কয়েকদফায় আগামী ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এতে কার্যত লকডাউনেই রয়েছে গোটা দেশ। জরুরি ও নিত্যপণ্য ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে কলকারখানাও।

এমন স্থবিরতায় একের পর এক পোশাক শিল্পের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে বিভিন্ন দেশ। বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বছরের গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন মৌসুম চলাকালীন মাঝপথে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্রয় আদেশ বাতিল করেছেন ক্রেতারা। এতে একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।

যদিও ইতিমধ্যে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় পোশাক কারখানা খুলে দিচ্ছে সরকার।

এইউএ/এফআর/এমএস