জাতীয়

ত্রাণে অনিয়ম : আরেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তিন সদস্য বরখাস্ত

ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে আরও একজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তিনজন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ত্রাণে অনিয়মের জন্য এ নিয়ে মোট ৩৯ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২২ জন ইউপি সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্য।

বুধবার কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন- নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চর-আড়ালিয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের মো. বাচ্চু মিয়া, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের মো. শরিফুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের মো. হাবিবুর রহমান।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার জেলার টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন।

সদস্যদের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নরসিংদী জেলার চর-আড়ালিয়া ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। নরসিংদীর ডিসি আইন অনুযায়ী তাকে অপসারণের সুপারিশ করেছেন।

এ ছাড়া কুষ্টিয়া জেলার নন্দলালপুর ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্য বরাদ্দ সরকারি ত্রাণ লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। দৌলতপুর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান সরকারি ত্রাণ ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বিধায় কুষ্টিয়ার ডিসি আইন অনুযায়ী তাদের পদ হতে অপসারণের সুপারিশ করেছেন।

Advertisement

এই চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে 'স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯' এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে আলাদা আলাদা কারণ দর্শানোর নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, সেই জবাব পত্রপ্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

আরএমএম/জেডএ/পিআর